প্রায় ১৮,০০০ রেশন কার্ড উধাও। এই ঘটনায় খাদ্য দফতরের এক পরিদর্শক যুক্ত থাকার অভিযোগ আনেন দফতরেরই মহকুমা আধিকারিক। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেলে দীনেশ সরকার নামের ওই পরিদর্শককে গ্রেফতার করে।
দফতরের জঙ্গিপুরের মহকুমা আধিকারিক দশরথ কোঁড়া বলেন, “খাদ্য দফতর দীনেশ সরকার নামের ওই পরিদর্শককে রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের ২৩,৩০০ রেশন কার্ড বিলির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ১৮,৩০১টি কার্ডের হদিশ দিতে পারেননি। গত ২৭ জুলাই সেখান থেকে তাঁকে বদলি করে মহকুমা খাদ্য দফতরে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে শো-কজ করা হলেও ওই কার্ডগুলির কোনও সন্ধান তিনি দিতে পারেননি। রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগে জানান, উধাও হওয়া কার্ডগুলি ৩০০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। এরপর ওই পরিদর্শক অফিসে এলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।” |
অভিযুক্ত ওই খাদ্য পরিদর্শক দীনেশ সরকার বলেন, “কিছু রেশন কার্ড বন্টন করা হয়েছে। সমস্ত কার্ডের সঠিক হিসেব এই মূহুর্তে দিতে পারছি না। সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তা দিয়ে আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল।”
রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের নীনা জৈন বলেন, “রেশন কার্ড বন্টনের জন্য পঞ্চায়েত ভিত্তিক একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকা মতো রেশন কার্ড ব্লক অফিস থেকে বন্টনের নিয়ম। কিন্তু ওই খাদ্য পরিদর্শক সম্মতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৯৯৯ জনকে বাদে আর কাউকে কার্ড দেননি। পরিবর্তে তিনি দালালদের মাধ্যমে ১৮,৩০১টি রেশন কার্ড এলাকায় ৩০০ টাকা করে বিক্রি করছেন।” তিনি বলেন, “ওই পরিদর্শকের বিরুদ্ধে বার কয়েক প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার তৎপর হয়ে খাদ্য দফতর ওই পরিদর্শককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ায় সকলেই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন।” |