|
|
|
|
রূপনারায়ণের চরে অচৈতন্য কিশোরী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ঘাটালের এক কিশোরীর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হল তমলুকে রূপনারায়ণের চরে।
বুধবার দুপুরে তমলুক থানার বাপুর গ্রামের এক বাসিন্দা মাছ ধরতে গিয়ে ওই কিশোরীকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। এরপরে গ্রামের লোকেরাই তাকে উদ্ধার করে জ্ঞান ফেরান। জানা যায়, তাপসী দাস নামে বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার মোহনপুর গ্রামে। বাড়ির লোকেদের খবর দেওয়া হলে সন্ধ্যায় তমলুকের ওই গ্রামে আসেন তাঁরা। নিয়ে যান কিশোরীকে।
কিন্তু ওই কিশোরী কী করে ঘাটাল থেকে কোলাঘাট পর্যন্ত ভেসে এল রূপনারায়ণে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বাপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা খারুই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মধুসূদন মণ্ডলের কথায়, “ওই কিশোরী জ্ঞান ফেরার পরে জানিয়েছিল নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল সে। ভাটার টানে অজ্ঞান অবস্থায় ভাসতে-ভাসতে আমাদের এখানে চলে এসেছে।” |
|
তাপসী দাস। —নিজস্ব চিত্র। |
আর কিশোরীর বাবা কাশীনাথ দাস ও মা শেফালী দাস বলেন, “মেয়ে মানসিক ভাবে অসুস্থ। কোনও ভাবে নদীতে পড়ে ভেসে গিয়েছিল। যে ভাবে বাপুর গ্রামের বাসিন্দারা ওকে রক্ষা করেছেন, তাতে সারা জীবন ঋণী থাকব।” পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটালের নতুক হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাপসী বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল টিউশনে যাবে বলে। দুপুর পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। সন্ধেয় তমলুক থেকে ফোন আসে।
এ দিকে, কোলাঘাট শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে বাপুর গ্রামে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বুধবার। দুপুরবেলা গ্রামের জগন্নাথ মণ্ডল নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ওই কিশোরীকে অচৈতন্য অবস্থায় নদীর চরে দেখতে পান প্রথম। জগন্নাথ বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম চরে কারও মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখি ওই কিশোরীর শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। কিন্তু কোনও জ্ঞান ছিল না।” গ্রামবাসীরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বিকেলে জ্ঞান ফেরার পর নাম-পরিচয় জেনে ওই কিশোরীর বাড়িতে যোগাযোগ করেন গ্রামের লোকেরা। |
|
|
|
|
|