এবিজি-মামলা বহাল, তবু ফের টেন্ডার হলদিয়ায়
লদিয়া বন্দরের দুই ও আট নম্বর বার্থে নতুন করে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট (কেওপিটি)। বৃহস্পতিবার অছি পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এবিজি-কে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার জরিমানা করার বিষয়টিও অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এবিজি-র প্রতিযোগী সংস্থার ঘনিষ্ঠ অছিরা।
রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি শিল্পসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বৈঠকে আসেননি।
চুক্তি ভাঙার জরিমানার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত এবিজি-কে হলদিয়া বন্দরে আটকে রাখতে চেয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পোর্ট ট্রাস্ট। তা সত্ত্বেও অছি পরিষদের বৈঠকে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা এবিজি-র প্রস্থানপর্বকে জটিল করে তুলছে বলেই জাহাজি মহলের আশঙ্কা। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষের স্ববিরোধিতাও দেখছেন কেউ কেউ।
কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান মণীশ জৈন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “এর মধ্যে কোনও স্ববিরোধিতা নেই। আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই আমরা যা করার করেছি। ডিসেম্বরের মধ্যে দুই ও আট নম্বর বার্থের নতুন পণ্য খালাসকারী সংস্থা নির্বাচন হয়ে যাবে। মার্চের মধ্যেই নতুন সংস্থা কাজ শুরু করে দেবে।” কিন্তু আদালত অন্য রায় দিলে? চেয়ারম্যান বলেন, “সে সব মাথায় রেখেই আমরা এগোচ্ছি। যারা অনৈতিক ভাবে চুক্তি ভেঙে একতরফা বেরোতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অছি পরিষদ মত দিয়েছে।”
এ দিন অছি পরিষদের বৈঠকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এবিজি-র কাছ থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকার জরিমানা আদায় এবং দুই ও আট নম্বর বার্থে নতুন টেন্ডার করে অতি শীঘ্র পণ্য খালাসের কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত তো রয়েইছে। তা ছাড়াও ঠিক হয়েছে, ‘পারফরম্যান্স গ্যারান্টি’ হিসেবে গচ্ছিত ৪ কোটি টাকা বন্দর কর্তৃপক্ষ ভাঙিয়ে নেবেন। এবিজি-র সহযোগী সংস্থা এইচবিটি-কে কালো তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা হবে। দুই ও আট নম্বর বার্থে যে পণ্য আটকে রয়েছে, সেগুলি দ্রুত খালাসের ব্যবস্থাও করা হবে। এবং এর পরেও কলকাতা হাইকোর্টে সালিশির মাধ্যমে আপস মীমাংসা মামলাটি চালু রাখা হবে।
এ ছাড়া, দুই ও আট বাদে বাকি বার্থগুলিতে যারা পণ্য খালাসের কাজ করে, তাদের কাছ থেকে রয়্যালটিও আদায় করতে চায় কেওপিটি। সে কারণে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট দিলে রয়্যালটি আদায়ের পরিমাণ ঠিক করা হবে। দুই ও আট নম্বর বার্থ থেকে হলদিয়া বন্দর মাসে প্রায় ৭ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। চলতি ডামাডোলে তা বন্ধ হয়ে গেল। এই দু’টি বার্থে আধুনিক গিয়ারলেস (ক্রেন বিহীন) জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা যেত। এখন কী হবে?
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, “১৩ নম্বর বার্থে কাজ করে টিএমআইএল নামে একটি পণ্য খালাসকারী সংস্থা। তাদের ক্রেন দিয়েই গিয়ারলেস জাহাজ থেকে পণ্য নামানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া, সেল, টাটা, এনটিপিসি, আদানি, এমএমটিসি-র মতো সংস্থার প্রতিনিধিদের আগামী সোমবার বৈঠকে ডাকা হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.