ভাইচুং ভুটিয়ার দলের বিরুদ্ধে শনিবার প্রয়াগের রিজার্ভ বেঞ্চে দেখা যাবে ডাচ কোচ এলকো সাটোরিকে।
ভিসা সমস্যা মিটে যাওয়ায় শুক্রবার ভোরেই শহরে পৌঁছচ্ছেন এলকো। সকালে সেন্ট্রাল পার্কে র্যান্টি, সুব্রতদের অনুশীলনেও হাজির থাকবেন তিনি। আই লিগের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার লক্ষ্যে।
টিডি ‘জুজু’ দেখিয়ে সঞ্জয় সেনকে পদত্যাগে বাধ্য করাকে অবশ্য মানতে পারছেন না দলের ফুটবলাররা। র্যান্টি, কার্লোস, দীপক মণ্ডলদের মধ্যে অসন্তোষের চোরাস্রোত। বৃহস্পতিবার দুপুরে যুবভারতীতে অনুশীলনের পর অধিনায়ক দীপক মণ্ডল বললেন, “এতে ফুটবলারদেরই ক্ষতি হল। নতুন কোচের সঙ্গে বোঝাপড়ায় একটা সমস্যা তো হবেই। এর প্রভাব পড়তে পারে মাঠের খেলায়।” লালকমল ভৌমিক সরাসরি প্রশ্ন তুললেন, “মাঠে নেমে তো কোচ খেলেন না। আমরা ভাল খেলতে না পারলে কোচের দোষ কোথায়?”
লালকমলদের সুরেই সুর মেলালেন প্রয়াগের নাইজিরীয় ডিফেন্ডার বেলো রজ্জাক। বললেন “এ ভাবে কোচ পরিবর্তন করার কোনও যৌক্তিকতা নেই।” কিছু দিন আগেই মোহনবাগান কোচ পরিবর্তন করেছে। এ বার প্রয়াগ। ভারতীয় ক্লাবগুলোর কোচ পরিবর্তনের ঝোঁক দেখে অবাক কার্লোস। বললেন, “ক্লাবগুলো এ ভাবে ঘনঘন কোচ বদলালে আখেরে ভারতীয় ফুটবলেরই ক্ষতি হবে।” এ দিকে, গত আড়াই বছরের অভ্যেস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে বৃহস্পতিবার গোটা দিন বাড়ি আর অফিস করে কাটালেন প্রয়াগের সদ্য প্রাক্তন কোচ সঞ্জয় সেন। হতাশ গলায় বলছিলেন, “স্পনসরদের জন্যই আমি সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলাম। ক্লাব কর্তাদের কোনও দোষ নেই।”
|