নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মজুতের অভিযোগে সকালে গুদামে তালা ঝুলিয়ে যায় পুরসভার কর্মীরা। রাতে সেই গুদামের পিছনের দরজা দিয়ে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বোঝাই বস্তা ট্রাকে চাপিয়ে পাচারের কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। সে সময়েই পুরকর্মীরা পুলিশ নিয়ে আচমকা হানা দিয়ে বস্তা বোঝাই ট্রাক আটক করেছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর নামে নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ মজুত করা-সহ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টারও অভিযোগ দায়ের করেছে পুরসভা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু করা হয়েছে। বুধবার রাতের এই ঘটনায় শহরের ব্যবসায়ী মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গত বুধবার সকালে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে জলপাইগুড়ির দিনবাজারে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বিরোধী অভিযান চালায় পুরসভা। সেই অভিযানে একটি দোকান থেকে প্রায় ৩৫ কেজি নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা-সহ দিনবাজার ও কামারপাড়া এলাকার ৬টি প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের গুদামে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুর কর্তৃপক্ষ। গুদামে অভিযান চালানোর সময় গুদাম মালিকদের বারবার খবর দিলেও তিনি আসেননি বলে অভিযোগ। পুরসভা সূত্রের খবর. এরপর রাত এগারোটা নাগাদ কামারপাড়ার এমনই একটি গুদামের পিছনের দরজা খুলে ক্যারিব্যাগ বোঝাই বস্তা ট্রাকে চাপিয়ে সরানোর কাজ শুরু হয় বলে অভিযোগ পৌঁছায় পুর কর্মীদের কাছে। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে পুরকর্মীরা হাজির হওয়ার আগেই দুটি ট্রাকে বস্তা চাপিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “শহরে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার রুখতে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ শহরবাসী সকলের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। যারা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে ইন্ধন যোগাবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বুধবার গুদাম সিল করার পরেই সংশ্লিষ্ট গুদামের মালিকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় পুর কর্তৃপক্ষ। মালিকপক্ষের তরফে অভিযুক্ত শশী কানোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এক ব্যক্তি নিজেকে শশী কানোরিয়ার বন্ধু ঋতিক বর্মা নামে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, “শশী বাইরে আছেন। কবে ফিরবে জানি না।” জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সাধন বসু বলেন, “আমাদের কাছে এই বিষয়ে কেউ কিছু জানাননি। শহরের স্বার্থে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ সংক্রান্ত পুরসভার নীতি বাস্তবায়িত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” |