নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
বেআইনি ভাবে ‘ডোমেস্টিক’ সিলিন্ডার থেকে ‘কমার্সিয়াল’ সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে শ্রীরামপুর এবং সংলগ্ন এলাকায় বিক্রি চক্রের মূল পাণ্ডা স্বপন বৈষ্ণব ওরফে বিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শেওড়াফুলিতে সে ভাড়া থাকত। সেখান থেকেই বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে সেখান থেকে গোটা দশেক ‘কমার্শিয়াল’ গ্যাস সিলিন্ডারও উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ভাবে গ্যাস বিক্রির বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে উঠে আসায় শ্রীরামপুর এবং শেওড়াফুলির তিনটি মিষ্টির দোকান থেকে থানায় সিলিন্ডার পাঠানো হয় বুধবারই। তদন্তকারী এক অফিসার জানান, খালি এবং ভর্তি মিলিয়ে মিষ্টির দোকানগুলি থেকে অন্তত ১৮টি সিলিন্ডার থানায় জমা পড়েছে।
মাসখানেক আগে শ্রীরামপুরের ৪ নম্বর কলোনির একটি ক্লাবে অসাধু এই ব্যবসার হদিশ পায় পুলিশ। সেখান থেকে ফাঁকা এবং গ্যাস-ভর্তি সিলিন্ডার উদ্ধার করে পুলিশ। |
দিন কয়েক আগে ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করে শেওড়াফুলির খোন্দকারপাড়ায় এই ধরনের আর একটি ঘাঁটির হদিস পান তদন্তকারীরা। সোমবার সন্ধ্যায় সেখান থেকেও কয়েকটি সিলিন্ডার সমেত দু’জনকে ধরা হয়। মূল অভিযুক্ত স্বপন গা-ঢাকা দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক স্বপনকে ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এই চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত তা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই চক্রের কারবারিরা ডানকুনি থেকে ফাঁকা সিলিন্ডার আনত বলে তদন্তকারীরা নিশ্চিত। তাঁদের দাবি, শ্রীরামপুরে এক গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের কার্যালয় থেকে স্বপনের মাধ্যমে অপর এক ধৃত যুবক বিশ্বজিৎ সাহার নামে গোটা কুড়ি ‘কমার্শিয়াল’ গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়। এর কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে ওই ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ভ্যানচালকদের, যাঁরা সিলিন্ডার নিয়ে যেতেন। |