স্কুলভোটকে ঘিরে গোঘাটে তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষ চলছেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমারগঞ্জ অঞ্চলের রিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংলগ্ন অশ্বত্থখোলা মাঠে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি এবং হাতাহাতিতে জখম হন সাত জন। চার জনকে আরামবাগ হাসপাতালে এবং বাকিদের কামারপুকুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ এবং র্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
এর আগে বুধবার গোঘাট-২ ব্লকের ঝড়িয়া হাইস্কুলের নির্বাচনের প্রচার ঘিরে কয়েকটি গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। জখম হন অন্তত ১০ জন। কুমারগঞ্জের স্কুলে বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগামী ১৮ নভেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীই ওই স্কুলভোটে প্রার্থী দিয়েছে। এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দু’পক্ষই মনোনয়ন জমা দেয়।
ওই এলাকার তৃণমূল নেতা মোহন মণ্ডলের অভিযোগ, “মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময়ে দলীয় নেতা চঞ্চল রায়ের দলবলই রড, বোমা, লাঠি নিয়ে আমাদের লোকজনের উপর চড়াও হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” রাতে থানাতেও তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চঞ্চলবাবু। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “আমাদের লোকজনের উপরেই চড়াও হয়েছিল মোহন মণ্ডলের দল। তারই প্রতিবাদ করেছেন আমাদের লোকজন। ৬ জন জখম হন।”
হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “দলে বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। গোঘাটে এ ধরনের ঘটনার দলীয় ভাবে তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” |