|
|
|
|
জন্মদিনে আডবাণীর বাড়িতে গডকড়ী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর বাহানায় লালকৃষ্ণ আডবাণীর শরণাপন্ন হলেন বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেও আরএসএস নেতৃত্ব যেভাবে চাপ দিয়ে গডকড়ীর গদি সুরক্ষিত রাখলেন, তাতে আদৌ সন্তুষ্ট নন আডবাণী। রাম জেঠমলানীদের প্রকাশ্য বিদ্রোহের পরে গডকড়ী সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিংহদের বাড়ি গিয়ে সমর্থন কুড়োনোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দেখা করেননি আডবাণী। আজ আডবাণীর বাড়িতেই সটান হাজির হন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, মাত্র মিনিট দশেক কথা বলেছেন দু’জন। তখন সংবাদমাধ্যমকেও ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গডকড়ী ও আরএসএসের উপরে তাঁর অসন্তোষ নিয়ে যা প্রচার হচ্ছে খন্ডন করেননি আডবাণী। উল্টে উস্কে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে বিতর্ক।
জন্মদিনে দল ও দেশ নিয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল আডবাণীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, “দল আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। অনেকে বলেন, আমি না কি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। আপনারাই বলুন প্রধানমন্ত্রী পদ কি দলের থেকেও বড়?” |
|
শুভেচ্ছা। দিল্লিতে নিতিন গডকড়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণী। ছবি: পিটিআই |
গডকড়ী শিবিরের নেতাদের বক্তব্য, রাম জেঠমলানীর সঙ্গে গডকড়ীর বিরুদ্ধে যশোবন্ত সিংহ ও যশবন্ত সিনহারা বিদ্রোহে সামিল হয়েছিলেন। তাঁরা আডবাণীরই ঘনিষ্ঠ। আডবাণী বুঝতে পারছেন, গডকড়ীকে সরিয়ে তিনি এখন সভাপতি
হতে পারবেন না। তাই প্রবীণ নেতা সুকৌশলে প্রধানমন্ত্রিত্বের বিতর্কটি উস্কে দিলেন। আরএসএস নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন, তিনি এখনও
দৌড়ে রয়েছেন।
গডকড়ী-বিরোধীদের বক্তব্য, বিজেপিতে এখনও আডবাণীর গুরুত্ব অনেক। জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে পদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন মাত্র দশ সেকেন্ডে। অথচ গডকড়ীর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ ওঠার পরেও তিনি পদ আঁকড়ে বসে রয়েছেন। গডকড়ীকে সরতেই হবে। তা জানেন বলেই আডবাণীর শরণাপন্ন হয়েছেন বিজেপি সভাপতি। |
|
|
|
|
|