|
|
|
|
চিটফান্ডের সম্পদ বিক্রি করে পাওনা মেটানোর দাবি কর্মীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রতারিত বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করল জীবন সুরক্ষা চিট ফান্ড সংস্থার কর্মী সংগঠন।
৬ নভেম্বর ‘জীবন সুরক্ষা’ সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার উত্তম আচার্যকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করে অসম সিআইডি। গত কাল তাঁকে গুয়াহাটি নিয়ে আসা হয়েছে। উত্তমবাবুকে আজ আদালতে তোলা হয়। উত্তমবাবুর আইনজীবীর বক্তব্য, গত কাল উত্তমবাবুর আগাম জামিনের আবেদন মেনে রায় দিয়ে দিয়েছে আদালত। তখনও তাঁর গ্রেফতার হওয়ার খবর আসেনি। সিআইডি দাবি করে, জামিন মেলার আগেই তাঁরা উত্তমবাবুকে গ্রেফতার করেছেন। তাই সেই রায় খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত। আদালত আজ উত্তমবাবুকে এক দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এ দিকে, চিট ফান্ড সংস্থাটির কর্মী সংগঠনের দাবি, সংস্থার মালিক চন্দন দাসকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা সম্ভব না হলে সংস্থার সম্পত্তি বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হোক। সেই ব্যবস্থা নিক রাজ্য সরকার। জীবন সুরক্ষা সংস্থার উত্তর-পূর্ব জুড়ে ৪১৬টি শাখা রয়েছে। চড়া সুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে, বিশেষ করে গ্রাম ও মফস্বলের মানুষের টাকা জমা রেখেছিল তারা। হঠাৎ করেই মাস দেড়েক ধরে সংস্থার মালিকপক্ষ উধাও হয়ে যায়। কর্মীরা পড়েন বিপাকে। দলে দলে মানুষ টাকা ফেরত চেয়ে শাখাগুলিতে চড়াও হন। অসহায় কর্মীরা ‘জীবন সুরক্ষা ব্রাঞ্চ ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’ গড়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। মামলা দায়ের হয় দিসপুর
থানায়। আদালতের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত শুরু করে।
এই ঘটনায় পাশাপাশি তদন্ত চালাচ্ছে ‘ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন অফ ইকনমিক অফেন্সেস’। মালিক চন্দন দাসের সন্ধান না মিললেও, গত কয়েকদিন সিআইডি-র তদন্তকারী দলটি পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গেড়ে সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার উত্তম আচার্যকে গ্রেফতার করে। তাঁকে শান্তিনিকেতনের কাছ থেকে ধরা হয়েছে। তিন দিনের ট্রানজিট রিম্যান্ডে উত্তমবাবুকে অসমে আনা হয়। সংস্থার মালিকপক্ষের নামে দিসপুর ও কোকরাঝাড়ে ৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। কর্মী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত হাজরিকার দাবি, সংস্থার পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করুন। কারণ, সংস্থাটি সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। কর্মীদের দাবি, রাজ্যে সংস্থার সম্পদ বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। |
|
|
|
|
|