|
|
|
|
লালুপ্রসাদের পথেই পাক সফরে নীতীশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
২০০৩ সালে লালুপ্রসাদ গিয়েছিলেন। ন’বছর পরে ফের বিহারের আর এক শীর্ষনেতা যাচ্ছেন পাকিস্তানে।
বিহারের সচিবালয় সূত্রের খবর, শুক্রবার দিল্লি থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার পঞ্জাব ও সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণে পাকিস্তানে রওনা হচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে যাচ্ছে বিহারের মন্ত্রী ও আমলাদের বারো সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
সরকারি সূত্রের খবর, মুত্তাহিদা কোয়ামি আন্দোলনের (বিহার থেকে পাকিস্তানে যাওয়া মুসলিমদের সমর্থনকারী) নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশপাশি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফের সঙ্গেও তিনি দেখা করতে চান। তবে তাঁদের সঙ্গে নীতীশকুমারে সাক্ষাৎকারের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ১৬ নভেম্বর পঞ্জাবের গর্ভনর লতিফ খান খোসার সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরবেন।
লালুপ্রসাদের পাকিস্তান সফরের সময় বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের অভিযোগ ছিল, বিহারের মুসলিম নেতাদের একাংশকে খুশি রাখতেই তাঁর এই পাকিস্তান সফর। এ বার নীতীশকুমারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তুলেছেন বিহারের রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ।
পাকিস্তান সফরে লালুপ্রসাদ যাদবকে মুগ্ধ করেছিল পাকিস্তানের বিরাট মাপের আলু। বিশাল সেই আলু হাতে নিয়ে লালুপ্রসাদের সেই মুদ্ধ ছবি ছাপা হয়েছিল পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে। পটনা ফিরে লালু জানিয়েছিলেন, শুধু আলুই নয়, পাকিস্তানের গরু দেখেও তিনি চমৎকৃত। পাকিস্তানে ঘুরে শেষপর্যন্ত যে তিনি যাদবদেরই ‘ঘরের ছেলে’ তা বোঝানোর জন্য লালু পাকিস্তানের খাটালের পরিচ্ছনতার কথাও বার বার উল্লেখ করেছিলেন। বিহারের ‘মুসলিম-যাদব (এমওয়াই) মসিহা’ লালু যাদবের পাকিস্তান ভ্রমণের সেই অভিজ্ঞতা ফলাও করে ছাপা হয়েছিল পটনার সংবাদপত্রে।
এক সময়ে লালুর শ্লোগান ছিল, ‘যব তক সামোসা মে রহেগা আলু, তব তক বিহার মে রহেগা লালু’। পাকিস্তানের আলু-মুগ্ধতার চিত্র দেখিয়ে লালু কিন্তু শেষপর্যন্ত মুসলিমদের ভোট টানতে পারেননি। উন্নয়নের প্রশ্নে লালুর দল আরজেডি থেকে সে বার মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন মুসলিম সমাজ।
সস্তা জনপ্রিয়তার সেই পথেই কি হাঁটছেন নীতীশকুমারও? |
|
|
|
|
|