চোর ধরলেন নাগরিক, ঢাক পেটাল পুলিশ
|
ছিনতাইবাজকে ধরলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পরে ছিনতাই হওয়া সামগ্রী উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটা করে এক অনুষ্ঠানে সে সব সামগ্রী ফেরত দিয়ে নিজেদের ঢাকও নিজেরা পেটাল। অথচ, পুলিশের তরফে পুরস্কার দূর অস্ৎ, যাঁরা দুষ্কৃতীকে ধরলেন, তাঁদের ভাগ্যে প্রশংসাটুকুও জুটল না।
বৃহস্পতিবার বিধাননগর পূর্ব থানায় মোট ১৭ জনের হাতে ছিনতাই ও চুরির জিনিস তুলে দিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। ১১ জন সামগ্রী ফেরত নেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন বিধাননগর পুর-চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী ও ভাইস চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। ফেরত দেওয়া হয় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার সোনার চেন, কানের দুল, সোনা-রুপোর মুদ্রা ছাড়াও নগদে তিন লক্ষাধিক টাকা। মোট ১৪টি ছিনতাই ও কয়েকটি চুরির ঘটনায় এই সব সামগ্রী উদ্ধার হয়। অনুষ্ঠানের পরে বিধাননগরের গোয়েন্দাপ্রধান নীলু শেরপা চক্রবর্তীর দাবি, পুলিশ আগেও সাফল্যের সঙ্গেই কাজ করছিল। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রচার হচ্ছিল। বাসিন্দাদের সঙ্গে দূরত্বও বাড়ছিল। ছিনতাই ও চুরি রুখতে বিশেষ দল তৈরি হয়। কৃতিত্ব তাঁদেরই। যাঁরা ছিনতাইকারীদের ধরলেন, তাঁদের কি কৃতিত্ব নেই? পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার পরে বলেন, “এটা কৃতিত্ব কাড়ার প্রশ্ন নয়। আজ স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব ছিল না। আলাদা অনুষ্ঠানে সাহসীদের সকলকেই সংবর্ধনা দেওয়া হবে।”
গত অগস্ট থেকে ১৪টি ছিনতাই হয় বিধাননগরে। ছিনতাইবাজকে ধরা দূর অস্ৎ, পুলিশের নাকাবন্দি চলাকালীন ছিনতাই করে পালায় সেই দুষ্কৃতী। সেপ্টেম্বরে এফ ই ব্লকের বাসিন্দারা সেই দুষ্কৃতী শৌভিক লাহাকে ধরে পুলিশে দেন। কিন্তু এ দিন সেই বাসিন্দাদের প্রশংসা দূর অস্ত্, কার্যত নিজেদের কৃতিত্বই জাহির করেন পুলিশকর্তারা। কেন? সদুত্তর মেলেনি। সব্যসাচী দত্ত বাসিন্দাদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, “এলাকাবাসীরা এ ভাবে পুলিশকে সহযোগিতা করলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সহজতর হবে।”
|