ট্রাফিক পুলিশের কাছে জমা পড়া জরিমানার ২৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এক করণিককে গ্রেফতার করল সিআইডি। বন্দর বিভাগের কর্মী, ধৃত গৌতম সরকার ট্রাফিক বিভাগের তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। আজ, শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। সিআইডি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভবানীভবনে ডাকা হয় গৌতমবাবুকে। সিআইডির দাবি, জেরায় তাঁর কথায় কিছু অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি-র স্পেশাল আইজি বিনীত গোয়েল বলেন, “ধৃতের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। আর কেউ ঘটনায় জড়িত কি না দেখা হচ্ছে।” এ বছর এপ্রিলে হেয়ার স্ট্রিট থানায় ট্রাফিক পুলিশের কাছে জমা পড়া জরিমানার টাকার হিসেব মিলছে না বলে পুলিশের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়। বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ট্রাফিক বিভাগের জরিমানার প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা পরেনি। রাজ্য এই তদন্তের ভার দেয় সিআইডি-কে। সিআইডি জানতে পারে, জরিমানার টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেননি গৌতমবাবু। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে অবশ্য তিনি প্রায় ছয় লক্ষ টাকা ফেরত দেন বলে দাবি গোয়েন্দাদের। কিন্তু বাকি টাকার কোনও হিসেব মেলেনি। গোয়েন্দাদের মতে, আরও কিছু পুলিশকর্মী এতে জড়িত। জেরায় বাকিদের নাম জানার চেষ্টা চলছে। ছ’বছর ধরে টাকা ‘নয়ছয়’হলেও কেন তা জানা গেল না, বিষয়টি তদন্ত করছে সিআইডি।
|
কলকাতা বিমানবন্দরে নামার মুখে পাইলটের মনে হল পাখি ধাক্কা মেরেছে বিমানে। সময় থাকতে থাকতে সে কথা বিমানবন্দরকে তিনি জানিয়েও দেন। তার পরে অবশ্য যাত্রী নিয়ে নির্বিঘ্নেই অবতরণ করল এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমান। কিন্তু বিপাকে পড়ল তার পিছনে থাকা জেট এয়ারওয়েজের বিমান। পাখির দেহ রানওয়েতে পড়ে থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ভেবে সেটিকে ফের আকাশে ওড়ানো হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি হায়দরাবাদ থেকে আসছিল কলকাতায়। আর তার পিছনের জেট এয়ারওয়েজের বিমানটি আসছিল রায়পুর থেকে। আকাশে থাকতে থাকতেই এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট বিমানবন্দরকে জানান, ধাক্কা মেরে থাকতে পারে পাখি। তার পরে ওই বিমানের নিরাপদ অবতরণ হয়ে গেলেও রানওয়েতে পড়ে থাকা পাখির দেহাংশের জেরে বিপদ হতে পারে ভেবে জেট-এর বিমানকে মুখ ঘুরিয়ে আবার উড়ে যেতে বলা হয়। পরে অবশ্য সেটি নেমে আসে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির কোনও ক্ষতি হয়নি। রানওয়েতে মেলেনি পাখির দেহও।
|
চুরির অভিযোগে বুধবার গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি। মিলেছে চুরি যাওয়া রুপোর থালা, গ্লাস ও মূর্তি। ডিসি (সেন্ট্রাল) দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ বৃহস্পতিবার জানান, পোস্তায় তপন চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির রুপোর জিনিস পালিশের দোকান। ৫ নভেম্বর তিনি অভিযোগ করেন, দোকানের কর্মী সুরজ রুইদাস রুপোর বাসন ও মূর্তি হাতিয়ে পালিয়েছে। তদন্তে জানা যায়, সুরজ হুগলিতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে রয়েছে। বুধবার সেখান থেকেই তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া জিনিসের দাম প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা।
|
সিপিএমের বিরুদ্ধে তৃণমূল যুব সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার, পূর্ব-যাদবপুরের পঞ্চসায়রে। পুলিশ জানায়, একটি খাস জমির দখল নিয়ে গোলমাল। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের যুব সম্পাদক পিনাকী দেবের অভিযোগ, “খাস জমিতে সিপিএম জোর করে ঝুপড়ি তৈরি করেছিল। তা ভেঙে দেওয়ায় সিপিএম সমর্থকেরা রড ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।” তিন তৃণমূল সমর্থক জখম হন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ওখানে আমাদের সমর্থকদের সংখ্যা খুব কম। ওটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।”
|
শহরে একটি ‘আর্ট ক্যাম্প’-এর আয়োজন করেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস। আজ, শুক্রবার দূতাবাস প্রাঙ্গণে ওই ক্যাম্পের সূচনা। উপ-দূতাবাসের পক্ষে কাজী মোস্তাক জাহির জানিয়েছেন, দুই বাংলার প্রথিতযশা চিত্রশিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করবেন। ক্যাম্প চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।
|
২৫ হাজার জাল নোট ও একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতী গ্রেফতার হল। বৃহস্পতিবার রাতে, নিউ টাউন থেকে। ধৃতের নাম মহসিন গাজি। পুলিশ জানায়, তিনটি বন্দুক, একটি পিস্তল, দু’টি পাইপ গান ও ৬৬ রাউন্ড গুলি, ৪০টি ৫০০ টাকার এবং ৫টি একশো টাকার জাল নোট মেলে।
|
নাইজেরীয় আসামির হাতে মার খেয়ে জখম হলেন দু’জন কারারক্ষী। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। জেল সূত্রের খবর, এ দিন সকালে তিন নাইজেরীয় বন্দির কাছে মোবাইল থাকার খবর পেয়ে প্রেসিডেন্সি জেলের দু’নম্বর ওয়ার্ডে তল্লাশি চালাতে যান কয়েক জন জেলরক্ষী। তল্লাশি শুরু করতেই ওই বন্দিরা জেলরক্ষীদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে।
|
চিনে যাওয়ার জন্য এত দিন ভিসা-র আবেদন করতে হত কলকাতার সংশ্লিষ্ট কনসাল জেনারেল-এর দফতরে। এ দিকে ভিসার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পর্যটক ছাড়াও রয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। তাই, পরিস্থিতি সামলাতে বৃহস্পতিবার সল্টলেকে চিনের ভিসার জন্য নতুন দফতর খোলা হল। কনসাল জেনারেলের আশা, বছরে ২৫ হাজার আবেদনকারীর ভিসা মঞ্জুর হবে এই অফিস থেকে। |