চিকিৎসার গাফিলতিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনার জেরে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় দেহটিও।
মঙ্গলবার সকালে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ভগবানপুরের কোটলাউড়ি গ্রামের গঙ্গাধর চন্দ্র (৪৮)। তাঁর পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করা পরেও প্রায় এক ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় তাঁকে। পরে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হলেও তা ছিল খালি। এর কিছুক্ষণ পরেই মারা যান গঙ্গাধরবাবু। তাঁর স্ত্রী সুমিত্রাদেবীর দাবি, সময়ে চিকিৎসা হলে এমন হত না। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তি চাই। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলেও সুমিত্রাদেবীগের অভিযোগ।
তবে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শঙ্করপ্রসাদ রায় বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। রোগীকে শেষ সময়ে আনা হয়েছিল। চিকিৎসার সুযোগ ছিল না।” অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনে রোগীর মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি। শঙ্করবাবুর দাবি, “এই ধরনের চিকিৎসার পরিকাঠামো শুধুমাত্র মেডিক্যাল কলেজ হালপাতালগুলিতে থাকে। এখানকার পরিকাঠামো অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়েছে।” তবে সিলিন্ডারে অক্সিজেন না থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি। জানান, রোগীকে রেফার করার সুযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত চিকিৎসক সুদর্শন মান্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ভগবানপুরের তৃণমূল নেতা স্বপন রায় বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে হাসপাতালে চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে।” পাশাপাশি তিনি ওই রোগীকে রেফার না করারও সমালোচনা করেন। অন্য দিকে, সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুব্রত মহাপাত্র বলেন, “চিকিৎসকের এই আচরণ ক্ষমার অযোগ্য। ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” |