শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের উল্টো দিকে কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে ওষুধের দোকানের নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগে পুলিশে নালিশ জানাল শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। গত সোমবারেই অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে বলে এসজেডিএ’র তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যেখানে দোকান তৈরি হচ্ছে তা রেলের হলেও এসজেডিএ’র তরফে ওই জায়গা নেওয়ার জন্য রেলকে অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, লিখিত ভাবে জমি হস্তান্তর না-হলেও জায়গাটি এসজেডিএ’র নেওয়ার কথা। তা ছাড়া সেখানে এ ধরনের নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে তাদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাতে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এসজেডে’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “রেল বা আমাদের কারও কোনও অনুমতি না নিয়েই সেখানে কংক্রিটের ঢালাই করে লোহারস্তম্ভ বসিয়ে স্থায়ী নির্মাণ কাজ চলছে। রেলের তরফে তাদের নিষেধ করা হলেও কাজ হয়নি। এসজেডিএ’র তরফে তাই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” কারও অনুমতি না-নিয়ে এ ভাবে নির্মাণ কাজ চালানোয় ক্ষুব্ধ পুর কর্তৃপক্ষও। পুর এলাকার মধ্যে নির্মাণ কাজ হওয়ায় তারাও বুধবারের মধ্যে দোকানের মালিকপক্ষকে লিখিত নোটিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রেল এবং এসজেডিএ’কেও এ ব্যাপারে আলাদা ভাবে পুরসভার তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হবে। শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “পুরসভাকে কিছু না জানিয়েই ওই জায়গায় দোতলা ওষুধের দোকান কী করে তৈরি হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। মালিকপক্ষকে মৌখিক ভাবে পুরসভার তরফে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। তাতে কাজ না হওয়ায় এ বার নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। প্রয়োজনে পুরসভা তরফেও পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে। তা ছাড়া রেল বা এসজেডিএ কাদের হাতে জমিটি রয়েছে তা জানতে উভয়পক্ষকেই চিঠি পাঠানো হচ্ছে।” তিনটি দোকানের মালিকপক্ষ একযোগে নতুন কোম্পানি খুলে সেখানে ওষুধের দোকান চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে কারণে নতুন করে নির্মাণ কাজও করছেন। তাদের ওই জমিতে স্থায়ী নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে জানতে পেরে রেলের তরফেও তা বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। মালিকপক্ষের অন্যতম অলক পাল এ দিন বলেন, “এসজেডিএ’র তরফে পুলিশে অভিযোগ করার ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই।”
তা ছাড়া পুরনো ৩টি ওষুধের দোকানের মালিকরা একযোগে নতুন ভাবে দোকান করার বিষয়টি নিয়েও ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক শাখার তরফে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। ওই বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ওষুধের দোকানের লাইসেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে দফতরের নিয়মকানুন সঠিক ভাবে মানা হচ্ছে কি না তা তাঁরা খোঁজ নিচ্ছেন। |