দুর্ঘটনায় জখম, গলায় বসল সিলিকনের নল
মোটরবাইক দুর্ঘটনায় শ্বাসনালির হাড় ভেঙে গিয়েছিল বীরভূমের এক যুবকের। বর্ধমান শহরে একটি নার্সিংহোমে তাঁর গলায় অস্ত্রোপচার করে সিলিকনের নল বসানো হল। খুব বিরল না হওয়া সত্ত্বেও ওই অস্ত্রোপচার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে করা গেল না কেন, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে।
মাস চারেক আগে বীরভূমের আমোদপুর থেকে চৌহাট্টা যাওয়ার সময়ে দুর্ঘটনায় পড়েন লাভপুরের চৌহাট্টা কালীনগর কলোনির বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ। বন্ধু বিজয় বিশ্বাসের সঙ্গে তিনি মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎই একটি ধান বোঝাই ট্রাকের পিছনে ঝোলা প্রায় ৩০ হাত দড়ি সুকান্তর গলায় জড়িয়ে যায়। সঞ্জয় বাইক থেকে পড়ে কিছু দূর ঘষটে চলে যান। সে সময়ে দড়ি খুলে গেলেও গলায় প্রচন্ড চোট পান তিনি। তাঁর বাবা সমর ঘোষ জানান, দুর্ঘটনার পরেই সঞ্জয়ের প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কলকাতা। এসএসকেএম হাসপাতালেও তাঁকে দেখানো হয়েছিল।
সমরবাবুর দাবি, “বিভিন্ন হাসপাতাল ও চেম্বার মিলিয়ে অন্তত ১৫ জন নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিশেষজ্ঞকে দেখানো হয়েছে। প্রত্যেকেই ওষুধ দিয়েছেন। কিন্তু ছেলের শ্বাসকষ্ট বন্ধ হয়নি। আসলে শ্বাসনালীর হাড় টুকরো হয়ে যে এই বিপত্তি, তা কিন্তু ধরতে পারেননি কেউই।”
সঞ্জয় ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
শেষমেশ দিন তিনেক আগে তাঁরা বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমে যান। সোমবার সেখানেই ‘ট্র্যাকিওস্টোমি’ করে সিলিকন নল বসানো হয়। তিন মাস পরে শ্বাসনালি স্বাভাবিক হয়ে গেলে ফের অস্ত্রোপচার করে সিলিকন নল খুলে ফেলা হবে।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের অস্ত্রোপচার ভুরি-ভুরি না-হলেও খুব বিরলও নয়। অন্তত মেডিক্যাল কলেজ স্তরের সরকারি হাসপাতালে তা করতে পারা উচিত।
তবে বর্ধমান মেডিক্যালের ইএনটি বিভাগের প্রধান ইন্দ্রনাথ কুণ্ডুর দাবি, “উপযুক্ত কর্মী ও যন্ত্রপাতির অভাবেই আমাদের হাসপাতালে এই অস্ত্রপোচার করা যায় না। যাতে ভবিষ্যতে তা সম্ভব হয়, তার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.