ভুলিয়ে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া এক কিশোরীকে গুজরাট থেকে মানবাজারে ফিরিয়ে আনল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। তাকে আটক করে রাখা ও পাচার-চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে গুজরাটের গাঁধীধাম থেকে মুকেশ বাঘেলা ও দ্রৌপদী বেন নামের দু’জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার নিয়ে আসা হয়। ২ অক্টোবর গাঁধীধাম আদালত থেকে ট্রান্সজিট রিমান্ড পাওয়ার পরে ধৃতদের এখানে আনার ব্যবস্থা করা হয়। ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পুলিশের দাবি ধৃতদের জেরা করে ও ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে রাগারাগি করে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে পুরুলিয়ায় দুই যুবক তাকে ভুলিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে দিয়ে বেহুঁশ করে গোপন আস্তানায় নিয়ে যায়। এরপর কয়েকজনের হাত বদল করে তাকে গুজরাটে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সব সময় তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাখা হওয়ায়, সে বাধা দিতে পারেনি। গুজরাটে তাকে ওই দু’জনের বাড়িতে তালা বন্ধ করে রাখা ছিল। পুলিশের দাবি, ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে বিদেশে পাচার করার মতলব এঁটেছিল দুষ্কৃতীরা। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পুরুলিয়ার মেয়েদের পাশে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার প্রসেনজিৎ কুণ্ডু বলেন, “জেলায় নারী পাচারের ঘটনা বিশেষ শোনা যায়নি। ভিন রাজ্যে বিয়ে দেওয়ার নামে মেয়ে পাচারের অভিযোগ শুনেছি। সচেতনতার দরকার।” জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, “আধিকারিকদের এ ব্যাপারে সচেতনতার কর্মসূচি নিতে বলা হবে।”
|
উন্নয়নমূলক কাজে বিরোধী কাউন্সিলরদের উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত নলহাটি পুরসভায়। উপেক্ষার অভিযোগপত্র নিয়ে মঙ্গলবার রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে ৬ জন বিরোধী কাউন্সিলর দেখা করেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসের ৩ জন, সিপিএম, ফরওয়ার্ডব্লক ও বিজেপির একজন করে কাউন্সিলর। তাঁরা রামপুরহাট মহকুমাশাসকের মাধ্যমে অভিযোগপত্র জেলাশাসকের কাছে পাঠানোরও আবেদন করেন। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী কংগ্রেসের আয়েষা সিদ্দিকার অভিযোগ, “পুরসভার পাঁচটি স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে। আমি অর্থ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আছি। আজ পর্যন্ত কোনও বৈঠকে আমাকে ডাকা হয়নি। পুরপ্রধানের কাছে পুরসভার উন্নয়ন বাবদ কত টাকা আছে, কোন খাতে কত টাকা খরচ করা হচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে পুরপ্রধান তার কোনও জবাব দেন না।” পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর মহেশ্বর ক্ষিরহরির অভিযোগ, “পুর-নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহের জন্য ঘটা করে পুরমন্ত্রীকে এনে জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করেও আজ পর্যন্ত জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে পুরসভার সদর্থক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।” বিরোধী সদস্যদের উপেক্ষা করে শুধুমাত্র দলীয় কাউন্সিলরদের মতামত নিয়ে দলীয় কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডেই টাকা বরাদ্দ করছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বসে, “আমি চাইব সমস্ত উন্নয়ন সকলকে নিয়েই করা হোক।” অন্যদিকে পুরপ্রধান রাজু সিংহ বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
|
বিধি ভেঙে শহরে ঢুকে পড়া বেআইনি ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করল পুরুলিয়া পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ধর-পাকড় শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তিনটি ইট বোঝাই ট্রাক্টর ও একটি লরিকে শহরের হাটমোড়ে জরিমানা করা হয়। শহরে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভারী যান ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে দুপুরে ফাঁকা থাকায় ঘণ্টা দু’য়েকের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন ট্রাক্টর তা না মেনে ফের সকালে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ঢুকতে শুরু করেছে। জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “নিষেধাজ্ঞা ভেঙে এভাবে ঢুকে পড়া ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই অভিযান চালাবে পুলিশ।”
|
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পাত্রসায়রের রায়খাঁ গ্রামের বাসিন্দা ঝুমা বেগম নামে এক বধূ শুক্রবার থানায় তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার রাতে পুলিশ ওই বধূর শ্বশুর রাইহান মল্লিক, শাশুড়ি তখিনা বেগম ও দেওর গোলাম মল্লিককে ধরে। বধূর স্বামী চাঁদ মল্লিক পলাতক। মঙ্গলবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হয়।
|
নকল সোনার মুদ্রা বিক্রি করে প্রতারণার অভিযোগে পুরুলিয়ার মানবাজার ও পুঞ্চার দুই যুবককে গ্রেফতার করল বাঁকুড়ার খাতড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে তামার তৈরি ১০০টি মুদ্রা উদ্ধার হয়। ধৃতেরা হলেন, মানবাজারের রাজীব ওরফে আশিস বাউরি ও পুঞ্চার বাপি ওরফে অরূপ বাউরি। সোমবার সন্ধ্যায় মুকুটমণিপুর এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। মঙ্গলবার ধৃতদের খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক চারদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
|
এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম হৃদয় প্রামাণিক ওরফে ঝুরা (৪৮)। বাড়ি বরাবাজারের উপরপাড়ায়। মঙ্গলবার তাঁর দেহ বাড়িতে ঝুলতে দেখা যায়। |