বিধায়কদলের কাছে খোলামুখ খনি নিয়ে সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে গণ্ডগোল বাধল বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার দুপুরে বড়জোড়ায় ট্রান্সদামোদর কোলিয়ারির গেটে এই গোলমাল হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ লাঠি চালিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। বাসিন্দারা তাঁদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়েন বলে পুলিশকর্মীরাও পাল্টা অভিযোগ করেছেন। পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জমাদার গ্রামের অশোক পাল, মুক্তিরাম দাস ও মাগারাম পাল নামের তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ওয়েস্টবেঙ্গল মিনারেল ডেভালপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের রাজ্য সরকারের অধীনস্থ একটি সংস্থা এখানে কয়লা তোলার কাজ শুরু করেছে। এ দিন ওই খনি পরিদর্শনে এসেছিলেন বিধানসভার কমিটি অব পিটিশন অন ইললিগ্যাল কোল মাইনিং-এর প্রতিনিধিরা। খবর পেয়ে খনির গেটে হাজির হন খনির জন্য জমি ও বাস্তুহারা কয়েকশো বাসিন্দা। তাঁরা সকলেই দাবি করেন, এলাকার উন্নতি-সহ নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েও খনি কর্তৃপক্ষ সে সব কাজ করেনি।
বিধায়কদলের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা এই অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলেন। পুলিশ জমিহারা ও বাস্তুহারাদের তিনটি সংগঠনের ৬ জন নেতাকে শুধু তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়। কিন্তু সকলেই দেখা করার দাবি তোলেন। গোলমাল বাধে পুলিশের সঙ্গে।
অভিযোগ পুলিশ সেই সময় গ্রামবাসীদের লাঠি পেটা করে সরিয়ে দেন। পুলিশের তরফে তা অস্বীকার করে দাবি করা হয়, তাঁদের লক্ষ্য করে বাসিন্দারাই ঢিল ছুঁড়েছিল। পরে তিন সংগঠনের প্রতিনিধিরা সমস্যার কথা বিধায়কদের জানান। মা ভালিতাবুড়ি ভূমিহারা সংগঠনের সভানেত্রী তথা বড়জোড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান টিঙ্কু মণ্ডল ও জমাদারগ্রাম ষোলআনা ভূমি হারাদের সংগঠনের নেতা কার্তিক ভুঁইদের দাবি, “প্রকৃত জমিহারাদের পুলিশ বাধা দিয়ে লাঠিপেটা করেছে।” কমিটির সদস্য পাড়া বিধানসভার বিধায়ক উমাপদ বাউরি বলেন, “গ্রামবাসীদের দাবি খনি কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” তবে চেষ্টা করেও খনি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। |