বাঁকুড়া পুরসভার অচলাবস্থা দূর করতে আপাতত শম্পা দরিপাকেই ফের পুরপ্রধানের পদে বসাল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স হলে বাঁকুড়া পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসে মহকুমাশাসক (বাঁকুড়া সদর) অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী তথা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর শিউলি মিদ্যা-সহ দু’জন কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন।
বাঁকুড়ার মহকুমাশাসক বলেন, “পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা সংক্রান্ত পুরো বিষয়টিতে প্রক্রিয়াগত কিছু ত্রুটি রয়েছে বলে কিছু কাউন্সিলর জেলাপ্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা মামলা পরে প্রত্যাহার করা হলেও অভিযোগটি খতিয়ে দেখছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এ জন্য পুরপ্রধান নির্বাচন স্থগিত ছিল। পুরপ্রধানহীন পুরসভার অচলাবস্থা কাটাতে নিতে নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার।” তিনি জানান, যতদিন না অনাস্থার প্রক্রিয়াগত ত্রুটি সম্পর্কিত অভিযোগের নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যালিটিস কন্ডাক্ট অ্যান্ড বিজনেস রুল ১৯৯৫’-এর ৯(৩) (সি) ধারা অনুযায়ী অনাস্থার আগে পুরসভার দায়িত্বে থাকা পুরপ্রধানকেই ফের পুরসভা চালানোর ক্ষমতা দেওয়া হল। তাঁর দাবি, জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে বৈঠকে উপস্থিত সকল কাউন্সিলর মেনেও নিয়েছেন। |
শম্পাদেবীর বিরুদ্ধে ২৩ জুন অনাস্থা এনেছিলেন তাঁর দল তৃণমূলের উপ পুরপ্রধান অলকা সেনমজুমদার-সহ দলেরই ৬ কাউন্সিলর ও কংগ্রেসের ৪ কাউন্সিলর। ৯ জুলাই ১০-৮ ভোটে শম্পাদেবী পরাজিত হন। ভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ তোলেন শম্পাদেবীর ঘনিষ্ঠ কিছু কাউন্সিলর। তবে এ দিন শম্পাদেবীকে পুরপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা হওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া তৃণমূল কাউন্সিলার রেখা দাস রজক ও শান্তি সিংহকেও। শম্পাদেবী বলেন, “গত চার মাসে পুরসভা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করাই এখন লক্ষ্য।” |