‘অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’ডনের দেশের সর্বোচ্চ সরকারি খেতাবে ভূষিত হওয়ার পর আধুনিক ডনের প্রথম অনুভূতি, “একানব্বই-বিরানব্বইয়ে আমার প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফর আমাকে ক্রিকেটার হিসেবে পাল্টে দিয়েছিল।” সচিন তেন্ডুলকরের শহরে এসে অস্ট্রেলিয়ার শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সিমন ক্রিন এ দিন ১৯০ টেস্টে ৫১ সেঞ্চুরি-সহ ১৫৩৩৩ রানের মালিককে (গড় ৫৫.০৮) মেডেল পরিয়ে দেন এবং হাতে তুলে দেন একটি স্টাম্প, যার সারা গায়ে এক অস্ট্রেলীয় আদিবাসী শিল্পীর অঙ্কন।
’৯১-৯২ থেকে ২০১১-’১২, ছ’বার অস্ট্রেলিয়া সফরে সচিন ২০ টেস্টে ৬টি সেঞ্চুরি-সহ ১৮০৯ রান করেন (গড় ৫৩.২০)। কিন্তু প্রথম সফরেই সিডনি এবং পারথে সেঞ্চুরি সমেত করা ৩৬৮ রান (গড় ৪৬) প্রসঙ্গে সচিন এ দিন বলেছেন, “ওই সিরিজটাই আমাকে ক্রিকেটার হিসেবে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছিল। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসের অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট-পরিবেশ আমাকে মানসিক ভাবে কঠিন ক্রিকেটার করে তুলেছিল।” সঙ্গে আরও যোগ করেছেন, “তখন মনে করতাম, বিশ্বের যে কোনও বোলিং আক্রমণের মোকাবিলার জন্য আমি তৈরি। এবং বলতে পারি সেই ব্যাপারে আমাকে মানসিক ভাবে আরও কঠিন করে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়াই। যে দেশের প্লেয়াররা ভয়ঙ্কর প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রচণ্ড মানসিক কাঠিন্যের জন্য গোটা দুনিয়ায় প্রসিদ্ধ। আবার ওদের বিরুদ্ধে কেউ সফল হলে তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিতেও ওরা কাপর্ণ্য করে না। যেটা আমার বেলায়ও ঘটেছে।” |
টুপিতে নতুন পালক। মুম্বইয়ে সচিন। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই। |
তা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর সেরা মুহূর্ত মাঠের ভেতর নয়। “স্যর ডনের নব্বইতম জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর যে ডাক আমি পেয়েছিলাম সেটাই ও দেশে আমার সেরা স্মৃতি,” বলেছেন সচিন। ভারতের বাইরে অস্ট্রেলিয়াতেই তিনি খেলতে সবচেয়ে পছন্দ করেন এবং সিডনি তাঁর বিদেশের প্রিয়তম মাঠ। আর যেটা বলতে গিয়ে হেসে ফেলেছেন ৩৯ বছরের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান“দু’হাজার সাতই আমার শেষ অস্ট্রেলিয়া সফর ভেবে ও দেশের দর্শকেরা সে বারের সিরিজে প্রতিটা ম্যাচে গ্যালারি ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে অভিনন্দন জানাতেন। কিন্তু আমি দু’হাজার বারোতেও ও দেশে টেস্ট খেলেছি। কে বলতে পারে পরের অস্ট্রেলিয়া সফরেও যাব না? কারণ আমি ক্রিকেটটা খেলতে বড়ই ভালবাসি।” |