|
|
|
|
ইন্দিরা আবাস নিয়ে ব্লকে নজরদারির সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাস তিনেক আগে বরাদ্দ অর্থের ২২ শতাংশ খরচ করা গিয়েছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৭ শতাংশ। অগ্রগতি বলতে এটুকুই। ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের এই হাল নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকেই ক্ষোভ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে বৈঠক করল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সুমন ঘোষ। ছিলেন বিভিন্ন ব্লকের জয়েন্ট বিডিও’রা। শুরুতেই প্রতিটি ব্লকের কাজের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে কোন ব্লক কত টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, এখন কত টাকা পড়ে রয়েছে, কাজ করতে কী কী সমস্যা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সমস্যার সমাধানে কী কী পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তা উঠে আসে।
বৈঠক শেষে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বলেন, “প্রকল্পের কাজের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক। কাজ এগোতে কী কী সমস্যা হচ্ছে, কী ভাবেই তা কাটিয়ে ওঠা যাবে, সেই সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্লক স্তরে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।” ইন্দিরা আবাস প্রকল্প নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জেলা পরিষদের চাপানউতোর চলছে। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জেলা প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাবেই প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। জেলার সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “ প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় না- থাকার ফলেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে উপভোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।” জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, ২০১১- ’১২ আর্থিক বছরে ২২ হাজার ২৩৫টি বাড়ি তৈরি হওয়ার কথা ছিল। প্রায় ৮ হাজার বাড়ি তৈরির টাকা পড়ে রয়েছে। ২০১২- ’১৩ আর্থিক বছরে আরও ২৪ হাজার ৬৩৭টি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। উপভোক্তাদের নামও নির্দিষ্ট হয়ে রয়েছে। তবে আগের অর্থবর্ষের টাকা পড়ে থাকায় নতুন করে আর অর্থ বরাদ্দ হয়নি। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের শেষ পর্যালোচনা করেছেন অক্টোবরের গোড়ায়। সেখানেই দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন ব্লকে ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের সব মিলিয়ে ৫৭ কোটি ৭২ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা পড়ে রয়েছে। সময়ের মধ্যে প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল বলে মানছেন জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকও। তাঁর কথায়, “কোথাও একটা গাফিলতি তো ছিলই। না হলে এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ অর্থ খরচ হয় কী করে? মঙ্গলবারের বৈঠকে কয়েকটি সমস্যার দিক উঠে আসে। এ বার তার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”
আগামী দিনে প্রকল্পের অগ্রগতি কতটা হয়, সেটাই এখন দেখার। |
|
|
|
|
|