সুন্দরবনের দুই বাসিন্দা বাঘের খোঁজে ইটানগরে |
খাস সুন্দরবন থেকে ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ দেখতে অরুণাচল পাড়ি! এমন দাবিই করছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবনের দুই যুবক। কিন্তু পুলিশ তাদের কথা বিশ্বাস করতে পারছে না। তাদের গ্রেফতার করে জেরা চালাচ্ছে অরুণাচল পুলিশ। আদালত আজ তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার রায়া ফ্লাগো জানান, গত কাল বিকেল চারটেয় ইটানগর চিড়িয়াখানা বন্ধ হয়। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দুই বহিরাগত যুবককে ‘টাইগার ল্যান্ড’-এর পাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন টহলদার রক্ষীরা। দু’জনকে আটক করা হয়। জেরায় তারা দাবি করে, কেবল বাঘ দেখার বাসনায়, চিড়িয়াখানার পাশের দোকোসো নদী পার হয়ে, চিড়িয়াখানার দেওয়াল টপকে ভিতরে ঢুকেছিল তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ও টিকিট পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, দু’জনেরই বাড়ি সুন্দরবনে। ধৃতদের নাম সৌমিত্র সরকার ও দেবদুলাল বারিক। দু’জনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফ্লাগো বলেন, “রয়েল বেঙ্গলের আঁতুড় ঘর থেকে এতদূর উজিয়ে এসে, নদী সাঁতরে, দেওয়াল টপকে বাঘ দেখতে আসার অজুহাত মেনে নেওয়া যায় না। এদের সঙ্গে চোরাশিকারিদের যোগ থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।” অরুণাচলের প্রধান মুখ্য বনপাল বি এস সাজোয়ান জানান, “ধৃতরা বলছে ওদের বাড়ি সুন্দরবন গ্রামে। আমি জানি সুন্দরবন বিশাল এলাকা। আমরা পশ্চিমবঙ্গের বন দফতর ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।”
গত ২৪ সেপ্টেম্বর এই ইটানগর চিড়িয়াখানাতেই একটি বাঘিনীকে গুলি করে মেরে, কেটে টুকরো করে ফেলা হয়েছিল। অপরাধীরা এখনও ধরা পড়েনি। তার দু’মাসের মধ্যেই ফের এই ঘটনা। অনি হত্যার পরে, চিড়িয়াখানার বাঘ রাখার এলাকায় সোলার আলো বসানো হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেওয়ালের সমস্ত ফাঁকফোঁকর। চিড়িয়াখানা চত্বর থেকে সব গবাদি পশু হঠানো হয়েছে। নিষিদ্ধ হয়েছে প্লাস্টিক। সব টহলদার রক্ষীর হাতে দেওয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। কর্মী ও দিনমজুরদের জন্য প্রবেশপথে চালু হয়েছে সময় লেখা হাজিরা খাতা। |