প্রাইভেট টিউশন পড়তে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল এক তরুণী। কয়েক ঘণ্টা বাদে ধানখেতে মিলল তার দেহ। পুলিশের অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে মেয়েটিকে। প্রতিবেশী এক যুবকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মেয়েটির পরিবার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কবিতা পাত্র (১৮) নামে ওই মেয়েটির বাড়ি বাগনানের নতুনগ্রামে। সে পড়ত শীতলচক পিপিএসএস ইন্সটিটিউটে নবম শ্রেণিতে। এ দিন ভোর ৭টা নাগাদ দুই বান্ধবীর সঙ্গে আমতার পানশিলা গ্রামে প্রাইভেট টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল সে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সমবায় ব্যাঙ্কে কাজ থাকায় দুই বান্ধবী কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিল। পিছনে আসছিল কবিতা। কবিতার বান্ধবীরা টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। তখনও বাড়ি আসেনি কবিতা। জানা যায়, সে পড়তেও যায়নি। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ পানশিলা গ্রামের একটি ধানজমির দিদির দেহ জলে ভাসতে দেখে কবিতার ভাই মোহন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
পুলিশ জানায়, কবিতার পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। মুখে মাটি লেপা। গলায় ফাঁসের দাগ। ধস্তাধস্তির চিহ্ন স্পষ্ট। কবিতার বাবা জগদ্বন্ধু পাত্রের দাবি, স্থানীয় এক যুবক মাঝে মধ্যেই উত্ত্যক্ত করত মেয়েকে। বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। তা নিয়ে অশান্তি বাধে। ঘটনাটি আগেও পুলিশকে জানিয়েছিলেন মেয়েটির পরিবারের লোকজন। ওই যুবকের নামে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সন্দেহভাজন যুবক ও তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ভরতলাল মিনা বলেন, “ধর্ষণ হয়েছে কিনা, তা ময়না-তদন্তের পরে জানা যাবে।” |