|
|
|
|
জোড়া খুনে সিবিআই তদন্ত চায় দু’পক্ষই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
একই দাবিতে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তরা আলাদা আলাদা ভাবে আন্দোলন শুরু করেছে। যে খুনের ঘটনাকে ঘিরে বিরোধ, তাতে দু’পক্ষেরই আর্জি ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। এমন বিরল ঘটনায় বিব্রত প্রশাসনও।
বদরপুরের এআইইউডিএফ নেতা তথা ব্যবসায়ী, গাজি তোফায়েল আহমদ হত্যার সিবিআই তদন্তের দাবিতে এক দিকে আন্দোলনে নেমেছে বদরপুরের সাধারণ মানুষ। আর ঠিক তখনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ধৃতরাও সেই ‘সিবিআই তদন্ত’-এর দাবিতে জেলের মধ্যে অনশন শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে ১৯ জন জেলবন্দি অভিযুক্ত করিমগঞ্জ জেলে আমরণ অনশনের কথা ঘোষণা করে। দু’জন দ্বিতীয় দিনে অনশন ভাঙলেও বাকি ১৭ জন ষষ্ঠ দিনেও অনশনরত। তিন জনকে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে এবং বাকি ১৪ জনকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেখে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
তোফায়েল আহমদকে গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এর ছ’মাস আগে খুন হয় তাঁর ছেলে আহরার আহমদ নাজ। পুলিশ ছেলের খুনে ১২ জনকে গ্রেফতার করে, বাবার খুনের ঘটনায় ধরা হয় ৮ জনকে। দুই মামলায় মোট ২০ জন এ সময়ে বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে একজন গ্রেফতারের দিন থেকেই শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ১৯ জন বৃহস্পতিবার একযোগে আমরণ অনশন ঘোষণা করে। ধৃতদের দাবি, তোফায়েল হত্যা মামলায় অহেতুক তাদের জড়ানো হয়েছে। তাই প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করতে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে তারা। সঙ্গে রয়েছে জামিন মঞ্জুরের আবেদনও।
করিমগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে কে গুপ্ত জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নাজ হত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেমন মামলা রুজু করা হয়েছে, তেমনই তোফায়েল হত্যায়ও তাদের হাত আছে বলে পুলিশ মনে করছে। তাঁর বক্তব্য, ধৃতদের অনশন বা অন্য আন্দোলনের ফলে মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি বদলের প্রশ্ন ওঠে না।
এ দিকে, জুলাইয়ের ৬ তারিখ তোফায়েল আহমদ নিহত হওয়ায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে প্রতিমাসের এই দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করছে বদরপুর এগেনস্ট সোস্যাল ইভিল (বেস)। বেসের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, হত চার
মাসেও পুলিশ তোয়েফেল হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারেনি। তাই তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন। |
|
|
|
|
|