|
|
|
|
বেড়ার এ পারে নিয়ে আসা হচ্ছে ১৭৮ পরিবারকে |
উত্তম সাহা • শিলচর |
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে বসবাস করেন এমন ভারতীয় নাগরিকদের বেড়ার ভেতরে পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাছাড় জেলা প্রশাসন। আর সেই পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনেই কাছাড় জেলার যে সব মানুষ বেড়ার ও পারে রয়েছেন তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে বেড়ার এ-পারে। পুনর্বাসনের জন্য কাছাড়ের কাটিগড়া থানার জালালপুরে প্রয়োজনীয় জমিও বরাদ্দ করা হয়েছে। কাছাড়ের সার্কেল অফিসার খালেদা সুলতানা আহমদ জানিয়েছেন, ১৭৮টি পরিবার দশ কাঠা করে জমি পাবে। তবে করিমগঞ্জ জেলায় এখনই এ ধরনের কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সেখানকার জেলাশাসক দেবেশ্বর মালাকার।
দক্ষিণ অসমের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে কাছাড়ের সঙ্গে ৩২ কিলোমিটার এবং করিমগঞ্জের সঙ্গে রয়েছে ৯২ কিলোমিটার সীমান্ত। বিতর্কিত কিছু অংশ বাদ দিলে এর অধিকাংশই কাঁটাতারে ঘেরা। আন্তর্জাতিক বিধি মেনে ‘জিরো লাইন’ থেকে দেড়শো গজ দূরে বেড়া বসানো হয়েছে। ফলে সীমান্তে বসবাসকারী অনেককেই প্রায় বন্দি জীবন কাটাতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে যাদের বাড়ি পড়েছে, মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক দিনে চার বার, মাত্র এক ঘণ্টা করে। ওই সময়ে বেড়ার গেট খোলা থাকে। সূর্যাস্তের পর খুব জরুরি কারণ ছাড়া গেট খোলা একেবারেই নিষিদ্ধ। এই ভাবে বেড়ার ওপারে, অথচ ভারতের মাটিতে যাঁদের দীবন কাটে তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য বছর পাঁচেক থেকেই দাবি উঠেছে। শেষ পর্যন্ত কাছাড় প্রশাসন বিষয়টি জেলা ল্যান্ড অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে উত্থাপন করে। কাটিগড়া সার্কলের জালালপুরে সরকারি খাস জমির সন্ধান মেলে। সেখানেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকারের অনুমোদন চেয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছে বলে সার্কেল অফিসার জানান।
কাছাড়ের জেলা শাসক হরেন্দ্রকুমার দেবমহন্তের কথায়, কাঁটাতারের বাইরে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের স্বাচ্ছ্যন্দের কথা ভেবেই তাঁদের ভিতরে নিয়ে এলেও দেড়শো গজ দৈর্ঘ্যের ওই জমিতে যারা চাষবাস করছেন, তারা আগের মতোই নির্ধারিত সময়ে গেট পেরিয়ে গিয়ে কাজ করবেন, ফসল ফলাবেন।
করিমগঞ্জের জেলাশাসক জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে সে ভাবে ভেবে দেখেননি। শুধু লাফাশাইলের ছ’টি পরিবার বাংলাদেশিদের হাতে হেনস্তা হচ্ছে বলে অভিযোগ করায় তাদের এ-পারে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। |
|
|
|
|
|