গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রীপুজোর বিসর্জনের উপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করল কলকাতা পুলিশ। গত বছর জগদ্ধাত্রীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভবানীপুর এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ বার যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না হয় তাই আগেভাগেই উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম বলেন, ‘‘কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রীপুজোর প্রতিমা বিসর্জন যাতে নির্বিঘ্নে হয়, তাই আমরা বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি।” পুলিশ জানায়, প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে কোনও রাস্তা আটকে শোভাযাত্রা করা যাবে না। শোভাযাত্রা করতে হবে রাস্তার একদিক দিয়ে। এমনকী, শোভাযাত্রাগুলি কোন কোন রাস্তা দিয়ে যাবে, পুজো কমিটিগুলিকে আগে থেকেই তা স্থানীয় পুলিশকে জানাতে হবে। কলকাতা পুলিশ কালীপুজোর বিসর্জনের শেষ দিন নির্ধারিত করেছে ১৬ নভেম্বর। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই দিনের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য পুজো কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে কালীপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ৬৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দে মাইক বাজানো যাবে না। শোভাযাত্রায় কোনও প্রকার শব্দবাজি যাতে ফাটানো না হয় তার জন্য পুলিশ নজরদারি চালাবে বলেও জানানো হয়েছে।
জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের সময়েও একই নিয়ম বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত বছর অভিযোগ উঠেছিল, জগদ্ধাত্রীপুজোর বিসর্জনের নির্দিষ্ট দিনের পরেও বেশ কিছু পুজোকমিটি প্রতিমা বিসর্জন দেননি। এমনকী নির্দিষ্ট দিনের পরেও নিয়মের তোয়াক্কা না করে পিকনিক গার্ডেন, কালিকাপুরে প্রিন্স আনোয়ার শাহ কানেক্টরে রাস্তা জুড়ে শোভাযাত্রা হয়েছিল বলে স্থানীয়েরা আভিযোগ করেছিলেন। এ বার যাতে তা না হয় তার উপর জোর দিয়েছে পুলিশ।
অন্য দিকে, নিষিদ্ধ শব্দবাজি ঠেকাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নজরদারির পাশাপাশি কালীপুজোর রাতে ‘শব্দদানব’-কে আটকাতে বদ্ধপরিকর পুলিশ। প্রতিবার কালীপুজোর রাতে সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটে শহরের বহুতলগুলিতে। তা ঠেকাতে বহুতলগুলির ছাদে পুলিশ মোতায়ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এক পুলিশকর্তার দাবি, প্রতিটি বহুতল আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে কালীপুজোর রাতে নিষিদ্ধ বাজি না ফাটানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। |