এক আইনজীবীকে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগে ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার কালনা আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতির অভিযোগে কালনা ২ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের বিরুদ্ধে গত ২ নভেম্বর কিছু লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে অনশনে বসেন আইনজীবী কাশীনাথ ঘোষ। তখন স্থানীয় কিছু লোকজনের সঙ্গে তাঁর বচসা, তা থেকে মারামারি বেধে যায়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার কালনা আদালতের কাছাকাছি এলাকায় আইনজীবীকে মারধরে অভিযুক্ত ছ’জনকে ঘোরাফেরা করতে দেখে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম বীরেন মল্লিক, শঙ্কর মল্লিক, পটলা বিশ্বাস, উত্তম ঘোষ, বিপুল বালা ও লালমোহন মণ্ডল। কাশীনাথবাবুর দাবি, ওই ছ’জন এ দিন দু’টি মোটরবাইকে চড়ে এসে কালনা আদালত চত্বর থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশকে তা জানানোর পরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। যদিও পুলিশ এই দাবি মানতে চায়নি।
|
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ভুয়ো চেক দিয়ে দু’লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সমরেশ কোনার। বাড়ি মাধবডিহির বাজেকুমারপুরে। পুলিশ জানায়, বর্ধমান শহরের আদালত চত্বরে ওই ব্যাঙ্কে তিনি নিজের নাম বলেছিলেন কার্তিক মণ্ডল। ব্যাঙ্কের মুখ্য ম্যানেজার বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সমরেশবাবুর জমা দেওয়া চেকের সঙ্গে সই না মেলায় তাঁকে বসিয়ে রেখে ওই অ্যাকাউন্টের গ্রাহক, পহলানপুরের এক চালকলের মালিক মনিশঙ্কর মেদ্দাকে ব্যাঙ্কে ডাকা হয়। তিনি এসে জানান, তাঁদের হেফাজত থেকে নির্দিষ্ট চেকটি চুরি গিয়েছে। মনিশঙ্করবাবুর করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়।
|
জঙ্গলে এক যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তারই এক আত্মীয়কে। পুলিশ জানায়, গত ১৬ অক্টোবর কালনার দফরপুর গ্রাম থেকে ফিরোজ শেখ নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়ে যান। দিন চারেক পরে তাঁর দেহ মেলে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের এক জঙ্গলে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মান্নান শেখ নামে ফিরোজের এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার কালনা আদালতে তোলা হলে ধৃতকে ৮ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
|