মাস ছয়েক আগে ১২৫ শয্যা থেকে বাড়িয়ে ২০০ শয্যা করা হয়েছিল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু পরিবর্তনটা থেকে গিয়েছে খাতায় কলমেই। শয্যা কিংবা অন্যান্য পরিকাঠামোর বদল হয়নি কোথাও!
আগে যখন হাসপাতালে ১২৫ শয্যার অনুমোদন ছিল তখন হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ২৫০ জন করে রোগী ভর্তি হতেন। একটি শয্যায় একসঙ্গে দুই থেকে তিনজন রোগীকে থাকতে হত। বর্তমানে সেই সংখ্যাটি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় শয্যা কম থাকায় মাঝে মধ্যেই বিক্ষোভ এমনকী ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে।
সমস্যা রয়েছে আরও। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ‘সি আমর্র্’ যন্ত্র কার্যত বন্ধ। ফলে সমস্যা হয় জরুরি অস্ত্রোপচারের সময়। প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাবে কম্পিউটার থেকেও নেই। এই সমস্যা নিয়ে পুজোর আগেই বৈঠকে বসেছিল রোগী কল্যাণ সমিতি। |
ছবিটি তুলেছেন বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে রেীগ পরিষেবার গুণগত মান বৃদ্ধি করা, হাসপাতালের পরিকাঠামো-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এই হাসপাতাল নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আঁচ পাওয়া গেল বোলপুর নাগরিক সমিতির সভাপতি শৈলেন মিত্রের কথায়। তিনি বললেন, “এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।”
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে হাসপাতালের সুপার সুদীপ মণ্ডল বলেন, “প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” বোলপুরের মহকুমাশাসক তথা রোগী-কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান প্রবালকান্তি মাইতিও বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। |