টুকরো খবর
হাসপাতাল পরিদর্শন, বিশৃঙ্খলা রঘুনাথগঞ্জে
হাসপাতালের বাইরে রোগীর আত্মীয়দের ভিড়। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
স্বাস্থ্য দফতরের একটি কেন্দ্রীয় দলের হাসপাতাল পরিদর্শনকে ঘিরে দুর্ভোগ পোহাতে হল জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগীর সাক্ষাৎপ্রার্থী আত্মীয় পরিজনরদের। সোমবার বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ হাসপাতালের সুপার-সহ স্বাস্থ্য দফতরের অন্যান্য কর্তার সঙ্গে অর্ন্তবিভাগে ঢোকে ওই পরিদর্শক দল। ফলে এ দিন বিকেলে রোগীর পরিজনরা হাসপাতালে ঢুকতেই পারলেন না। ৪টে থেকে ভিজিটিং আওয়ার্স শুরুর কথা থাকলেও সন্ধ্যে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তাদের গেটেই আটকে রাখা হয়। এর ফলে হাসপাতালের সামনে শুরু হয় চরম বিক্ষোভ। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা উপেক্ষা করেই জোর করে সাক্ষাৎপ্রার্থীরা ঢুকে যান হাসপাতালে। হাসপাতালের সুপার শাশ্বত মণ্ডল বলেন, “সুষ্ঠুভাবে পরিদর্শনের স্বার্থেই রোগীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ের বদল ঘটিয়ে বিকেলের দিকে গেট বন্ধ রাখা হয়।” আচমকা কেন্দ্রীয় দলের এই হাসপাতালে আসা নিয়ে কেউ কোনও মুখ খুলতে চাননি।

চিকিৎসায় কলকাতা গেল রাম-লক্ষ্মণ
কলকাতার এসএসকেএমে চিকিৎসা করাতে রওনা হয়ে গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের পঞ্চগ্রাম এলাকার বাসিন্দা অতিকায় দুই ভাই রাম ও লক্ষণ। সোমবার বিকালে জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে দিনমজুর বাবা সোমরা তিরকি ও এক আত্মীয়-সহ সহোদর রাম লক্ষণকে নিয়ে বালুরঘাট থেকে গৌড় এক্সপ্রেসে কলকাতায় রওনা হন কংগ্রেস নেতা আশিস বিশ্বাস। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়। গত বৃস্পতিবার পঞ্চগ্রামে গিয়ে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ওই দুই ভাইয়ের চিকিৎসার বিষয়ে নীলাঞ্জনবাবু উদ্যোগী হন। তিনি কলকাতার এসএসকেএমের হরমোন বিশেষজ্ঞ সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে দুই ভাইয়ের চিকিৎসার বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। নীলাঞ্জনবাবু বলেন, “আজ, মঙ্গলবার এসএসকেএমের ওই বিশেষজ্ঞ দুই ভাইকে দেখবেন। দরকার হলে তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা হবে। ওদের বিপিএল কার্ডও দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”

বিজেপি-র সমর্থন কংগ্রেসকে
এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াল বিজেপি। দলের জাতীয় পরিষদের সদস্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তপন শিকদার মনে করেন হাসপাতালের দাবিকে ঘিরে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে যে বিতর্ক চলছে সেটা বন্ধ হওয়া জরুরি। সোমবার উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বেতনা এলাকায় দলীয় জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির ঘোষণা করেছে। কিন্তু কংগ্রেস ও তৃণমূলের বিতর্কের জেরে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরাও চাই রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি হোক। কংগ্রেস ও তৃণমূল একসঙ্গে কাজ করলে জমি অধিগ্রহণেও সমস্যা হবে না।” রবিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল নদিয়ার কল্যাণীতে করার জন্য সাওয়াল করেন। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মেনে হাসপাতাল রায়গঞ্জে হবে। তপনবাবু বলেন, “এ ভাবে ঝগড়া করা ঠিক হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় প্রকল্প পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে সেটা হারানো অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় হবে। কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের অনুরোধ করছি, হাসপাতাল তৈরি নিয়ে ঝগড়া না করে উন্নয়নের কাজ নিয়ে প্রতিযোগিতা করুন।” তিনি জানান, হাসপাতাল-সহ জেলার উন্নয়নের নানা দাবিতে ১৩ ডিসেম্বর থেকে দলের কর্মীরা তিন দিনের পদযাত্রায় সামিল হবেন। কালিয়াগঞ্জে শুরু হয়ে পদযাত্রা শেষ হবে ইসলামপুরেহাসপাতালের ইস্যুতে পাশে দাঁড়ালেও জেলার উন্নয়নের প্রশ্নে কংগ্রেসকে বিঁধতে ছাড়েননি ওই প্রবীণ বিজেপি নেতা। তিনি অভিযোগ করেন, জেলার রাস্তা বেহাল। পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিষেবা পাচ্ছে না। জেলা পরিষদ রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থারও একই হাল। রায়গঞ্জে সরকারি সুতোকল ও বেসরকারি কাগজকল রুগ্ন হয়েছে।

আবর্জনা সাফাই
ছবিটি তুলেছেন তরুণ দেবনাথ।
রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল চত্বর থেকে অবশেষে আবর্জনা সরানো হল। পুরসভা, রোগী কল্যাণ সমিতির সহায়তায় ওই কাজ করালেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রায়গঞ্জ পুরসভার সহযোগিতায় সোমবার দিনভর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাড়ে ৪ হাজার টাকায় একটি জেসিপি গাড়ি ভাড়া করে হাসপাতাল চত্বর থেকে আবর্জনা সরান। পুরসভার উদ্যোগে হাসপাতাল চত্বরে একাধিক গর্ত খুঁড়ে আবর্জনাগুলি পুঁতে দেওয়া হয়েছে। গত প্রায় ১৫ দিন ধরে হাসপাতালের নার্স, আয়া ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসার বর্জ্য ও সাধারণ আবর্জনা মিশিয়ে জমা করে রাখছিলেন বলে অভিযোগ। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাস বলেন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে পুরসভা আবর্জনা পরিস্কারের কাজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করেছে। এর পর হাসপাতালের কর্মীরা চিকিৎসার বর্জ্যের সঙ্গে সাধারণ আবর্জনা মিশিয়ে ফেললে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে জানিয়ে প্রয়োজনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।

নিখরচায় অস্ত্রোপচার
শিলিগুড়ি ভলান্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স ফোরামের উদ্যোগে নিখরচায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত গরিব পরিবারের এক কিশোরের অস্ত্রোপচার করে প্লীহা বাদ দেওয়া হল। সোমবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ওই অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালেরই চিকিৎসক বিবেক সরকার। বিবেকবাবু আগেও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ৪৩ জনের অস্ত্রোপচার করে প্লীহা বাদ দিয়েছেন। সংগঠনের তরফে পিন্টু রায় জানান, কৃষক পরিবারের ছেলে ১৩ বছরের মুমতাজ আলি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। ওই রোগে আক্রান্তদের প্লীহা অস্ত্রোপচার করে বাদ দিলে রোগীরা অনেক দিন ভাল থাকেন। সংগঠনের উদ্যোগে মুমতাজের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করেন বিবেকবাবু।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.