গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) পরিচালনায় ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা আরও স্বচ্ছ হওয়া দরকার বলে জানালেন মোর্চার বিধায়ক-সহ প্রথম সারির নেতারা। সোমবার দলের কালিম্পঙের বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রী এবং কার্শিয়াঙের বিধায়ক রোহিত শর্মা তা বলেন।
হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেন, “পাহাড়ে ঠিকঠাক কাজ করা যাচ্ছে না। রাজ্য সরকারের ভূমিকা স্বচ্ছ নয়। চুক্তির সময় সময় আর্থিক অনুদান, মামলা প্রত্যাহার অনেক কিছুই ঠিক হয়। এখনও কিছুই হয়নি। কেন হচ্ছে না তাও রাজ্য সরকারের তরফে পরিস্কার করে বলা হচ্ছে না।” একই ভাবে রোহিত শর্মা বলেন, “পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে অনেক কিছুই বলা হয়েছিল। রাস্তাঘাট, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেই কাজ শুরু করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের পুরোপুরি সহযোগিতা মিলছে না।”
দুই বিধায়কের থেকে এক ধাপ এগিয়ে জিটিএ সভার কার্যনির্বাহী সদস্য বিনয় তামাং জানান, চুক্তির সময় ঠিক হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অনুদান হিসাবে ২০০ কোটি টাকা দেবে। ইতিমধ্যে তারমধ্যে ৮৩ কোটি টাকা মিলেছে। এ ছাড়া নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য ৪৩ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর সমপরিমাণ টাকা রাজ্যের দেওয়ার কথা তা মিলছে না। এতে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।
আমাদের অনুরোধ সরকার দ্রুত টাকা দিক। মোর্চা সূত্রের খবর, মোর্চার নেতাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা ছাড়াও অন্য সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করাই ছিল চুক্তির অন্য তম বিষয়। তা এখনও রাজ্যের তরফে করা হয়নি। তা না হওয়ায় মোর্চার নেতাদের বিভিন্ন মামলায় আদালতের হাজির হতে হচ্ছে। সম্প্রতি মোর্চার সভাপতির বিরুদ্ধেও সমন জারি করেছে আদালত। আদালত এই নিয়ে দার্জিলিঙের পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে বলেছে। বর্তমানে পাহাড়, সমতলের আদালতে মোর্চা নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫০ মামলা রয়েছে। ২০০৭-এ মোর্চা তৈরির পর থেকে ওই রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় সড়ক অবরোধ, আইন অমান্য, অনুমতি ছাড়া সভা, জমায়েতের মামলা রয়েছে। |