বাঙালি খানা থেকে কন্টিনেন্টাল,
স্বাদ বদলাতে সেজেছে ব্যারাকপুর
ৎসবের ভরা মরসুম এখন। আর কে না জানে উৎসব মানেই ভুরিভোজ। একেবারে পেট পুরে বিভিন্ন পদে মজে যাওয়া। দুর্গাপুজো থেকে শুরু হয়ে শেষ সেই-ই ভাইফোঁটায়। উৎসবের এই মরসুমের নির্যায়টুকু চেটেপুটে নিতে কোমরবেঁধে তৈরি থাকে বিভিন্ন নামী হোটেল, রেস্তোরাঁও। যদিও এই সব নামী হোটেল, রেস্তোরাঁর প্রায় সকলেরই বাস শহরাঞ্চলে। যা নিয়ে খেদ রয়েছে মফস্সল ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের। তবে সেই খেদ বোধহয় এ বার মিটতে চলেছে। উন্নত পরিকাঠামো নিয়ে এ বার শহর ছাড়াও মফস্সল ও জেলাশহরগুলিতে পা ফেলেছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, শহরের মতো এই সব এলাকায় রেস্তোরাঁতেও খাবার পরিবেশনে অভিনবত্ব আনা হয়েছে।
—নিজস্ব চিত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বেশ কয়েকটি রেঁস্তোরা পুজোর চারদিন তো বটেই বড়দিন পর্যন্ত গোটা উৎসবের মরশুমে হরেক রকমের খাবার পরিবেশনে অভিনবত্ব এনেছে। স্টেশনের কাছেই ভি কাফেতে এ বার মাছের অসংখ্য পদ। ডাব চিংড়ি থেকে, মালাইকারি, মাছের কাবাব, কোপ্তা, কালিয়া, এমনকি বাংলাদেশ থেকে প্রমাণ সাইজের ইলিশ এনে তৈরি হচ্ছে গোটা ইলিশ ভাপা। উৎসবের সময়তো বটেই বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান থাকলে অর্ডার অনুযায়ী বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হবে একদম বাঙালি পোশাকে। খাবার শেষে থাকছে মিষ্টি পান। রেস্তোরাঁর মালিক গৌতম সেনের কথায়, “উৎসবের খাবারেও বাঙালিয়ানা আনতেই এই অভিনবত্ব। মাছের যত রকমের পদ আছে সবই আমরা তৈরি করছি। থালা, গ্লাস সাজানো হচ্ছে একদম বাঙালি খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। যাঁরা পরিবেশন করছেন তাঁরাও পরেছেন বাঙালির ব্র্যান্ড পোশাক কোঁচা দিয়ে ধুতি আর পাঞ্জাবি।”
অন্যদিকে, আর এক রেঁস্তোরা পেঙ্গুইনেও সাজো সাজো রব। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পদের সম্ভার নিয়ে হাজির কর্তৃপক্ষ। ট্র্যাডিশনাল ডিসের সঙ্গে রয়েছে তন্দুরি, চাইনিজ, থাই। চার-পাঁচ রকমের মোমোও তৈরি করছেন রেঁস্তোরার শেফ। বুফেতে মিলছে নিরামিষ ও আমিষ দু’রকমই। সুবিধে একটাই, যত খুশি তত খাও। শুধু পদে অভিনবত্ব নয়, রেস্তোরাঁর অন্দরসজ্জাতেও প্রাচীন ও আধুনিকতার মিশ্রণ। ভিন্টেজ লুকের আসবাবের পাশাপাশি, ডাইনিং হলে ফ্রেসকোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে পুরনো ব্যারাকপুরের ছবি। ব্যাঙ্কোয়েটে আছে পার্টির ব্যবস্থা। আর আছে নানা রকমের মকটেল। ওয়েস্ট উইন্ডে অবশ্য এ বার আকর্ষণ কাবাব স্পেশ্যাল। কাঠের ঘরে টিমটিমে আলোয় হরেক রকম কাবাবের স্বাদ নিতে পারবেন খাদ্য রসিকেরা। তা ছাড়া, ব্যারাকপুর বিখ্যাত দাদা-বৌদির বিরিয়ানির ট্র্যাডিশন তো রয়েইছে। লেকটাউনের অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বা কল্যাণীর সৌরভ সরকার লক্ষ্মীপুজোর দিন দুপুর ১২টাতেও অন্তত একশ জনের পিছনে লাইন দিয়ে বিরিয়ানি কিনেছেন।
স্পাইসি রান্নার জন্য ৩৬৫ দিনই সকাল ১১টা থেকে টানা ১২ ঘন্টা দরজা খোলা নৈহাটির আউট অফ দ্য টাউনের। উৎসবের মরশুমে পদে অভিনবত্ব এনেছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে এই রেঁস্তোরাও। ভাট্টামামসাম ইগলু, মটন চেট্টিন আড়ু, গোয়ান কারি, মালাবারি প্রনস, ফিস অমৃতসরি, ফিস গলিয়ারা মাংস ও মাছের এমন অসংখ্য নতুন ধরনের রান্না ষষ্ঠীর দিন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে এখানে। রেঁস্তোরার মালিক বিকাশ বিশ্বাস নিজেই শেফ। তাঁর কথায়, “আমি নিজে বিভিন্ন প্রদেশে ঘুরে রান্নাগুলো আয়ত্ত্ব করেছি। একদম সেখানকার স্বাদ বজায় রেখেই পরিবেশন করছি আমরা।”
পরিবেশ, উপকরণ সবই হাজির। দেখার, কে কতটা এর স্বাদ নিতে পারেন!



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.