|
|
|
|
ক্ষতিপূরণে দ্বিচারিতা নিয়ে ক্ষোভ নৈনানে |
শুভাশিস ঘটক • মগরাহাট |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মতো সংগ্রামপুরে বিষমদ-কাণ্ডে মৃতদের পরিবারের লোকজন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কিন্তু এখনও সরকারি সাহায্য পাননি মগরাহাটের নৈনানে পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবার। মৃতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কিছুই হয়নি।
প্রায় এক বছর অপেক্ষার পরেও কিছুই না মেলায় সংগ্রামপুরের উদাহরণ তুলে নৈনানের স্বজনহারারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলছেন। গত বছর ১ ডিসেম্বর নৈনান গ্রামে হুকিং-বিরোধী অভিযান ঘিরে গোলমাল বাধে। হাজার দেড়েক গ্রামবাসী বিদ্যুৎকর্মীদের আটকে রাখেন। পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধ বাধে। গুলিতে মৃত্যু হয় রেজিনা খাতুন বছর চোদ্দোর এক কিশোরী এবং সায়েদা বিবি নামে এক বধূর। গুলিতে জখম হয় বছর পনেরোর কিশোর জব্বর নাইয়া।
তখন মমতা বলেছিলেন, “যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের জন্য যা যা করণীয় রাজ্য সরকার অবশ্যই করবে।” পরে তিনি বলেন, “ওখানে আমার দু’টি বোন মারা গিয়েছে। ওদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
কিন্তু সেই সাহায্য এখনও মেলেনি। রেজিনার বাবা আসগর আলি মোল্লার ক্ষোভ, “সরকার বিষমদ-কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ দিতে পারল। আর আমার মেয়েটা পুলিশের গুলিতে মরে গেল। কিন্তু নজর দেওয়া হল না। আমরা প্রশাসনের সর্বত্র আবেদন করলেও কোনও প্রতিকার হয়নি।” একই ক্ষোভ সায়েদা বিবির স্বামী সফিক শেখের কণ্ঠেও। জব্বারের বুকের বাঁ দিকে গুলি লাগে। জব্বারের মামা আব্দুল বারিক মল্লিক বলেন, “ওর হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়ে গিয়েছে। সরকার একটু সদয় হতে পারত।”
ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অর্থ বরাদ্দ করেনি। অর্থ বরাদ্দ হলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|