গ্রাহক ও ব্যাঙ্ক কর্মীদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মিনিট পনেরোর অপারেশনে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। সোমবার সকালে নদিয়ার রানাঘাটের ওই ডাকাতির ঘটনায় রাত পর্যন্ত পুলিশ অবশ্য ধরতে পারেনি কাউকেই। এ দিন সকালে ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি অশোককুমার প্রসাদ। গিয়েছিসে জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমন মিশ্রও। সব্যসাচীবাবু বলেন, “ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে নদিয়া নয়, ডাকাতেরা বাইরে থেকেই এসেছিল। তারা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে ভল্ট খুলে টাকা নিয়ে যায়। এই ঘটনায় স্থানীয় কেউ জড়িতে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।” |
ডাকাতির পরে তালা পড়েছে ব্যাঙ্কে। রানাঘাটে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন সকাল দশটা নাগাদ রানাঘাট পুরসভার সুভাষ অ্যাভিনিউ-এ ওই ব্যাঙ্কের শাখায় হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে ডাকাতেরা। এ দিন ওই এলাকায় বাজার বন্ধ থাকে। লোকজন তাই কম ছিল। সবে ব্যাঙ্ক খুলেছে গ্রাহকও তাই বিশেষ ছিল না। ডাকাতেরা ব্যাঙ্কে ঢুকেই কর্মীদের মাথায় আগ্নায়াস্ত্র ঠেকিয়ে চাবি ছিনিয়ে নেয়। তারপর হুঁশিয়ারি দেয়, “নড়াচড়া করলেই গুলি চালিয়ে দেব।” মিনিট দশেকের মধ্যেই ভল্ট খুলে লুট করে নেয় প্রায় সর্বস্ব।
হবিবপুরের বাসিন্দা শান্তিরানী বিশ্বাস সেই সময়ে ব্যাঙ্কে ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি পেনশন তুলতে গিয়েছিলাম। ওরা আমাদের হাত ধরে হ্যাঁচকা টান মেরে মাটিতে বসিয়ে দিল। কড়া গলায় বলল, ‘ফোন করার চেষ্টা করলে জানে মেরে ফেলব।’ তারপর এক জন এগিয়ে এসে সবার কাছ থেকে মোবাইলগুলো ছিনিয়ে নিতে থাকল।” তিনি জানান, ডাকাতেরা হিন্দি ও বাংলাতে কথা বলছিল।”
ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার স্বপনকুমার বারুই বলেন, “প্রাথমিক হিসেবে মনে হচ্ছে ৩০ লক্ষ টাকা খোওয়া গিয়েছে। তবে এখনও সব হিসেব করা যায়নি।” |