|
|
|
|
মামলা খারিজ, স্বস্তিতে বসপা, কংগ্রেস শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
তথ্য-প্রমাণের অভাবে তাজ করিডর মামলায় বসপা নেত্রী মায়াবতীর বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরুর আর্জি খারিজ করে দিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। ফলে, কেবল মায়াবতীই নয়, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্বও।
২০০২ সালে তাজ সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে তাজ করিডর প্রকল্প শুরু করেন মায়াবতী। প্রকল্প রূপায়ণে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে ঘটনাটি তদন্ত করার নির্দেশ দেয়।
২০০৭ সালে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল মায়াবতী ও তাঁর সহযোগী নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার অনুমতির আর্জি খারিজ করেন। ফলে, তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। পরবর্তী চার বছরে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মায়াবতী ও তাঁর সহযোগী নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধে তদন্ত চালু রাখার জন্য ছ’টি জনস্বার্থ মামলা হয় ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। আজ সেই মামলাগুলিই খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান মায়াবতীর আইনজীবী। শীতকালীন অধিবেশনে আস্থা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে ক্ষেত্রে মুলায়ম সিংহ যাদবের সপা-র পাশাপাশি মায়াবতীর বসপাকেও দরকার কংগ্রেসের। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, “ আসলে তৃণমূল চলে যাওয়ার পরে কোনও দলই অচ্ছুৎ নয় কংগ্রেসের কাছে।” কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, মায়াবতীর বিরুদ্ধে ফের মামলা শুরু হলে তাঁর সমর্থন নেওয়া নিয়ে সমস্যা হত। কংগ্রেসের অন্দরেই প্রশ্ন উঠত। আরও সরব হত বিরোধীরা। ইলাহাবাদ হাইকোর্ট সেই বিড়ম্বনার হাত থেকে ইউপিএ সরকারকে বাঁচিয়েছে। শীতকালীন অধিবেশনের ঠিক আগে যে ভাবে মায়াবতী ছাড় পেলেন তা নিয়ে ঘরোয়া আলোচনায় প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। দর কষাকষির টানাপোড়েনেই তিনি ওই ছাড় পেয়েছেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। প্রকাশ্যে অবশ্য দলীয় মুখপাত্র বলবীর পুঞ্জ বলেছেন, “এটি অন্তবর্তিকালীন ছাড়। কেননা বিষয়টি এরপর সুপ্রিম কোর্ট যাবে।” মায়াবতীকে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের ভূমিকা থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।
|
|
|
|
|
|