কলকাতার খিদিরপুর ডক থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে রবিবার আটক করা হল ১৬ লরি গম। বাজেয়াপ্ত করা গমের বাজার দর প্রায় দু’কোটি টাকা বলে সোমবার জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গম-সহ লরিগুলি আটক করে রাখা হয়েছে দক্ষিণ বন্দর থানায়।
লরির ভিতরে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই)-র ছাপ মারা বস্তা পাওয়া গিয়েছে। গণবন্টন ব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ সরকারি গম বিদেশে রফতানি করা যায় না। তাই আটক করা হয়েছে ওই গম। কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত এফসিআই-এর তরফে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এফসিআই অভিযোগ না জানালে তদন্ত শুরু করা যাবে না।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে এফসিআই-এর একাংশের যোগসাজশ রয়েছে বলে মনে করেন। এ দিন তিনি অভিযোগ করেন, “রাজ্যের অফিসারেরা ঘটনাস্থল ঘুরে এফসিআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিকেল পাঁচটার মধ্যেই এফসিআই দফতর বন্ধ করে চলে যান কর্তারা। অথচ আমাদের অফিসারেরা যে যাচ্ছেন, তা আগে থেকে জানানো হয়েছিল এফসিআই-কে।” এই কারণেই পুলিশ কোনও মামলা শুরু করেনি।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার বিকেলে। খিদিরপুর ডক এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স)-এর কাছে প্রথম গম পাচারের খবর আসে। সেই সময়ে ১৬ লরি গম ঢুকে গিয়েছে বন্দরের মধ্যে। বাকি চারটি লরি দাঁড়িয়েছিল গেটের বাইরে। ভিতরে ঢুকে পড়া লরিগুলি তল্লাশি করে দেখা যায়, থরে থরে গমের বস্তা সাজানো। তারই মধ্যে রয়েছে এফসিআই-এর ছাপ মারা বস্তা। কিছু বস্তায় বিপিএল (বিলো পভার্টি লাইন) ছাপ ছিল। আবার কিছু বস্তায় ছিল ‘নট ফর এক্সপোর্ট’ লেখা। |