উৎসবের মরসুমে এক মাস ধরে দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী ও অন্ত্যোদয় যোজনা প্রকল্পের আওতাধীন কোচবিহারের রেশন গ্রাহকরা অপেক্ষাকৃত কম দামের চিনি পাচ্ছেন না। এই ঘটনায় রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন ওই দুই প্রকল্পের আওতাধীন কোচবিহার জেলার ৯ লক্ষের বেশি রেশন গ্রাহক। পরিস্থিতির জেরে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য বরাদ্দ চিনি প্রায় দ্বিগুণ দামে রেশন থেকে তাঁদের অনেকেই কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। আরও চড়া দামে খোলা বাজার থেকেও অনেককে চিনি কিনতে হচ্ছে। কবে ওই গ্রাহকেরা চিনি পাবেন সেটাও স্পষ্ট করে খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা জানাতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য সরবরাহ দফতরের কোচবিহার জেলা নিয়ামক মানিক সরকার অবশ্য বলেছেন, “সরবরাহ না মেলায় কয়েক সপ্তাহ বিপিএল ও অন্ত্যোদয় যোজনা প্রকল্পের গ্রাহকদের কম দামের নির্দিষ্ট চিনি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পরের সপ্তাহ থেকেই ওই গ্রাহকেরা নির্ধারিত দামে পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।” জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলায় দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী (বিপিএল) রেশন গ্রাহক রয়েছেন ৭ লক্ষ ১৪ হাজার জন। অন্ত্যোদয় যোজনা প্রকল্পের আওতাধীন রেশন গ্রাহক আছেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার। রেশনে প্রতি কেজি সাড়ে ১৩ টাকা দরে ওই গ্রাহকদের চিনি পাওয়ার কথা। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসের ২৬ তারিখের পর থেকে ওই দুই প্রকল্পের আওতাধীন রেশন গ্রাহকদের জন্য কম দামের চিনি সরবরাহ করা যায়নি। ফলে উৎসবের মুখে সাধারণ গ্রাহকের জন্য নির্ধারিত ২৬ টাকা প্রতি কেজি দরে কিংবা খোলাবাজারে প্রতি কেজি ৪০ টাকা দামে চিনিই তাঁদের অনেককে কিনতে হয়েছে বলে অভিযোগ। কোচবিহার জেলা এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজুর্ন দত্ত বলেন, “যোগান না থাকার কথা বলে এক মাস ধরে সাড়ে ১৩ টাকা কেজি দামের চিনি ওই দুইটি প্রকল্পের গ্রাহকদের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে বহু ক্ষেত্রেই ডিলাররা ওই গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। খোঁজ নিয়ে দেখেছি আগামী সপ্তাহে সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত চিনি সময় মতো পৌঁছয়নি। ফলে কবে ওই গ্রাহকেরা কম দামের চিনি পাবেন সেটা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।” |