বৃহস্পতিবার গনিখান চৌধুরীর জন্মদিন হলেও জেলায় কংগ্রেস পরপর দুইদিন প্রয়াত নেতার জন্মদিন ধূমধাম করে পালন করছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস জন্মদিনের কোনও অনুষ্ঠান করছে না। দলের কয়েকজন নেতা কর্মীকে এদিন কোতোয়ালিতে পাঠিয়ে গনিখানের সমাধিতে ফুলের চাদর চড়িয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন গনিখানের জন্মদিনে ভাই আবু নাসের খান চৌধুরী, সাংসদ মৌসম বেনজির নূর, বিধাযক ঈশা খান চৌধুরী মালদহে থাকলেও থাকতে পারেননি গনিখানের ভাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী। তাঁর ছেলে ঈশা খান বলেন, “দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠক থাকায় বাবা আসতে পারেননি। আজ, শুক্রবার তিনি আসবেন। ওই দিন নানা অনুষ্ঠান হবে।” এ দিন জেলা কংগ্রেস দফতরে গনিখান চৌধুরীর ছবিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দলের সাংসদ, বিধায়ক-সহ নেতারা। রথবাড়ি মোড়ে নেতার ছবিতে মাল্যদান ছাড়াও সাংসদ মৌসম বেনজির নূরের নেতৃত্বে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও গনিখান চৌধুরী রেলওয়ে হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে ফল বিলি করেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “আজ, শুক্রবার কোতোয়ালিতে গনিখান চৌধুরীর সমাধিতে ফুল চড়াবেন পরিবারের সদস্য ও জেলা কংগ্রেস কর্মী নেতারা। সেখানে প্রয়াত নেতার আদর্শ ও কর্মকান্ড নিযে জেলা রাজ্যর নেতারা আলোচনা করবেন।” |
কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে গনিখানের ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাংসদ
মৌসম বেনজির নুর। সঙ্গে বিধায়ক ইশা খান। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়। |
তবে গনিখানের জন্মদিন না পালন করার প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র জানান, গত বছর আমরা প্রয়াত নেতার জন্মদিন ধুমধাম করে পালন করি। তখন কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, আমরা না কি গনিখানকে নিয়ে রাজনীতি করছি। গনিখানকে তৃণমূল কংগ্রেস হাইজ্যাক করছে। আমরা গনিখানকে নিয়ে রাজনীতি করছি না। ওঁর নাম ভাঙিয়ে তো গনি পরিবার বেঁচে রয়েছে। আমরা তাই এবার কোনও অনুষ্ঠান করিনি। সমাধিতে ফুল চড়িয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এই ব্যাপারে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের দ্বিচারিতা মালদহের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাই ওঁরা এবার অনুষ্ঠান করতে সাহস পায়নি।” এ দিন কংগ্রেসের গনিখান চৌধুরীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ইংরেজবাজারের কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে দেখা যায়নি। দলীয় সূত্রের খবর, গতবছর গনিখানের জন্মদিন তৃণমূল জাঁকজমক করে পালন করায় কিছুটা কোনঠাসা হযে পড়েছিল জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই এবার প্রথম থেকেই বিষয়টি মাথায় রেখেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দিন সাতেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করা হয়। |