একটা বড় গাড়িতে তাঁদের বিশাল বিশাল কিট ব্যাগ ও লাগেজ। পিছনে তার চেয়ে একটু ছোট গাড়িতে তাঁরা-- তিন বঙ্গতনয়। মনোজ তিওয়ারি, অশোক দিন্দা ও ঋদ্ধিমান সাহা। যখন সিসিআই ক্লাব হাউস থেকে বেরোলেন, তখনই ঘড়িতে চারটে বেজে পঁয়ত্রিশ। তাঁদের কলকাতায় ওড়ার কথা সন্ধ্যা সাতটা দশে। ওই সময় বিমান বন্দরগামী রাস্তার যা অবস্থা, তাতে দেড়-দু’ ঘণ্টার কম লাগার কথা নয় পৌঁছতে। ফলে ব্রেবোর্ন স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে বেশ উদ্বিগ্নই দেখাল মনোজদের। উদ্বেগ তো বিমানবন্দরে ঠিক সময়ে পৌঁছলেই শেষ। কিন্তু বিমানে করে মনোজ-দিন্দারা যা সঙ্গে করে কলকাতা নিয়ে যেতে পারলেন, তা হল প্রচুর আত্মবিশ্বাস। শুক্রবার এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই রঞ্জির লড়াইয়ে নেমে পড়তে পারবেন তাঁরা। |
বৃহস্পতিবার বিকেলে খেলার শেষে সাজঘরে ফিরে কোনও রকমে স্নান সেরে, কিটব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে জিনস ও নীল টি শার্ট চাপিয়ে ব্রেবোর্ন থেকে প্রায় দৌড় মারার আগে মনোজ বলে গেলেন, “এখান থেকে যা আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি, সেটা রঞ্জিতে অবশ্যই কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আশা করি পারবও।” উইকেট বেশি নিতে না পারলেও দিন্দা নিজের বোলিং নিয়ে যথেষ্ট খুশি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সকালে এক ওপেনার নিক কম্পটনকে ফেরানোর পর দ্বিতীয় উইকেটটা পেতে তাঁর অবশ্য লেগে গেল পরের দিন সকাল। কেন এমন হল? জিজ্ঞাসা করাতে মুখে কিছু বললেন না, কপালের দিকে আঙুল দেখিয়ে ইঙ্গিতে যেন বোঝালেন, সবই ভাগ্য। এখানে দু’দিন ধরে ২৩ ওভার বল করার পর যদি আবার শুক্রবার ইডেনে তাঁকে বোলিং শুরু করতে হয়, তা হলে কী হবে? দিন্দা মুখে কিছু না বললেও সেই আশঙ্কা নিয়েই কিন্তু মুম্বই ছাড়লেন বাংলার সেরা পেসার। |