|
|
|
|
প্রশ্নের মুখে সৌন্দর্যায়ন |
ত্রিফলা বাতি অচল, হুঁশই নেই পুরসভার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্যে পালাবদলের পরই শহরের সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিফলা বাতি লাগানো সেই উদ্যোগেরই অন্যতম। কলকাতার পাশাপাশি মেদিনীপুর-খড়্গপুর শহরেও ত্রিফলা বাতি লাগানো হলেও সেই বাতির অধিকাংশই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই পরিস্থিতি বলে শহরবাসীর অভিযোগ। ফলে শহরের সৌন্দর্যায়নের উদ্দেশ্যও প্রশ্নের সম্মুখীন। দুই শহরের পুর-কর্তৃপক্ষ সমস্যার কথা মানলেও সমাধানে পদক্ষেপ করছেন না। |
|
স্তম্ভই সার, জ্বলে না আলো। মেদিনীপুরের নান্নুরচকে। নিজস্ব চিত্র। |
ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর শহর সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা মাফিক মেদিনীপুর-খড়্গপুর শহরে ত্রিফলা বাতি লাগায় মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইরেক্টরেট (এমইডি)। মেদিনীপুর শহরে ৫৮টি বাতিস্তম্ভ লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে ৩৭টিরই এখন মেরামতের প্রয়োজন। কোনও স্তম্ভের একটি বা দু’টি বাতি জ্বলে। কোনওটায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। কোনওটা আবার ভেঙে গিয়েছে। সদর শহরের রবীন্দ্রনগর, কেরানিতলা, নান্নুরচক প্রভৃতি এলাকায় রাস্তার ধারে ত্রিফলা বাতি স্তম্ভ লাগানো হয়েছিল। একই অবস্থা রেলশহর খড়্গপুরেও। খড়্গপুরের ইন্দা, মালঞ্চ এবং পুরসভার সামনের রাস্তার পাশে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ রয়েছে। সবমিলিয়ে ৬০টি স্তম্ভ রয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। শহরবাসীর অভিযোগ, পুর- কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার ফলেই এই পরিস্থিতি। আগে থেকে দেখভালের উদ্যোগ নিলে এই পরিস্থিতি হত না।
মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “বেশ কয়েকটি বাতি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।” পুরসভা সূত্রে খবর, এখনও ওই দফতর থেকে কোনও উত্তর আসেনি। তাহলে কী এ ভাবেই অধিকাংশ বাতি খারাপ হয়ে পড়ে থাকবে? পুরপ্রধানের বক্তব্য, “আর কয়েকদিন দেখি। না হলে পুরসভা থেকেই উদ্যোগ নিয়ে বাতিগুলি মেরামত করা হবে।” প্রায় একই বক্তব্য খড়্গপুরের ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান তুষার চৌধুরীর। তবে তাঁর দাবি,“আমরা ইতিমধ্যেই ওই বাতিগুলি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি।” তুষারবাবুর কথায়, “কেউ কেউ ঢিল ছুঁড়ে কয়েকটি বাতি ভেঙে দিয়েছে। সব সময় তো নজর রাখা সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “বাতিগুলি লাগানোর ফলে শহরের সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। এ বার আমরা খারাপ হয়ে যাওয়া বাতিগুলি মেরামত করে দেখভালের চেষ্টা করব।” পুর-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে শহরবাসীরও নজর রাখা উচিত। কেউ বাতিগুলি নষ্ট করছে দেখলে বাধা দেওয়া উচিত। না হলে সমস্যা থাকবেই।
কবে এই পদক্ষেপ হয়, সেটাই এখন দেখার। |
|
|
|
|
|