|
|
|
|
রেড্ডির পদ বদল নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে বামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বদল নিয়ে শীতকালীন অধিবেশনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিলেন বামেরা। তবে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছে। সরকারকে এখনই কতটা আক্রমণ করা হবে, তা নিয়ে মতান্তর রয়েছে দলের ভিতরেই।
সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় রদবদলের সময় জয়পাল রেড্ডিকে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার জায়গায় নিয়ে আসা হয় বীরাপ্পা মইলিকে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত কাল অভিযোগ করেন, শিল্পসংস্থা, রিলায়্যেন্স-এর চাপেই সরানো হয়েছে জয়পালকে। যদিও রিলায়্যেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ অম্বানী এ দিন অবশ্য দাবি করেছেন, কেজরিওয়ালের অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রিলায়্যেন্স যাবতীয় আইনি পদ্ধতি মেনেই গ্যাস অনুসন্ধানের বরাত পেয়েছিল। যাই দাবি করা হোক না কেন, এই বিতর্ক রাজধানীর রাজনীতিতে ভালই উত্তপ্ত করে তুলেছে। বিশেষত, অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে ভাবে সরকার ও বাণিজ্যিক সংস্থার যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছেন, তাতে আরও একটি অস্ত্র পেয়ে গিয়েছেন বিরোধীরা। দু’সপ্তাহ পরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরকারকে এ নিয়ে আক্রমণের পড়তে হবে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত আজ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে রিলায়্যেন্সের দাবি না মানাতেই মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে জয়পালকে। বহুদিন ধরে এই বাণিজ্যিক সংস্থা সরকারকে রীতিমতো চাপে রেখে আসছে। তারা উৎপাদন কমাচ্ছে, অথচ দাম বাড়াতে চাইছে। এর ফলে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রেও সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। আর সরকারও তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে।
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী কে হবেন, তা আর কতদিন রিলায়্যেন্সের মতো সংস্থা নির্ধারণ করবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সিপিআই। জয়পালের আমলে রিলায়্যেন্সকে লেখা পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের চিঠি উদ্ধৃত করেও গুরুদাসরা দাবি করছেন, বাণিজ্যিক সংস্থার চাপেই সরতে হয়েছে তাঁকে।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটও আজ বিবৃতি জারি করে বলেন, তাঁদের দলের সাংসদ তপন সেন অনেক আগেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও ইউপিএ সরকারের কোনও অবস্থাতেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর পথে হাঁটা উচিত নয়।
নতুন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ইতিমধ্যেই শক্তি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। রিলায়্যেন্সের দাবি মানার ব্যাপারে তৎপরতাও শুরু হয়েছে। কিন্তু সময়ের আগে সরকার যেন কোনও পদক্ষেপ না করে। সিএজিকে দিয়েও হিসেব-নিকেশ করানোর দাবি তুলেছেন কারাট।
প্রধান দুই বাম দল সরকারকে চাপে রাখার চেষ্টা করলেও কিছুটা দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। গত কাল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাংবাদিক বৈঠকের আগে একই বিষয় নিয়ে রীতিমতো বিবৃতি জারি করেছিলেন বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিংহ। কিন্তু তার পরে বিজেপি নেতাদের মধ্যে আর তেমন কোনও উচ্চবাচ্য দেখা যায়নি। দলীয় সূত্রের খবর, সংসদ অধিবেশনের আগে নেতারা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। বামেরা যদি সরব হয়, তবে বিজেপিও পিছপা হবে না। |
|
|
|
|
|