|
|
|
|
রাজস্থানেও ফতোয়া পঞ্চায়েতের |
|
সংযম আনতে মোবাইলে
নিষেধাজ্ঞার কোপে মেয়েরা
সংবাদসংস্থা • জয়পুর |
|
বড় বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে মেয়েদের! তাই স্বাধীনচেতা আধুনিকাদের কড়া দাওয়াই দিতে মেয়েদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করল রাজস্থানের দৌসা জেলার ভান্দারেজ পঞ্চায়েত। বাড়ির কর্তাব্যক্তিদের জানিয়ে দেওয়া হল, “বাড়াবাড়ি বন্ধ করুন।” মেনে নিয়েছেন গ্রামবাসীরাও। তাই ভান্দারেজে এখন মেয়েকে মোবাইল উপহার নৈব নৈব চ।
কী করেছে মেয়েরা?
অপরাধ করেছে। সামাজিক অনুশাসন টলিয়ে দিয়েছে তারা। মোবাইলে বড় বেশি কথা, হাসাহাসি, ছেলেদের সঙ্গে অগাধ মেলামেশা এত স্বাধীনতা পেয়ে গিয়েই তারা সমস্যার মুখে ফেলছে পরিবারকে। অসংযমী বাচ্চাদের সংযমী করতেই এই সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েতের।
ভান্দারেজের সরপঞ্চ দুর্গা লাল বলেন, “এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। মেয়েদের মোবাইল ব্যবহারে অযাচিত ঝামেলা তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন পরিবারে।” তিনি আরও বলেন, “কারও একার সিদ্ধান্ত নয়। পঞ্চায়েত বৈঠকে সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
গত ২৬ অক্টোবরের ঘটনা। গ্রামের একটি শিক্ষিত প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে স্কুলছুট দশম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তার উপর ছেলেটি ভিন্ জাতের। এই ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পঞ্চায়েত। যদিও তাদের দাবি, কারও উপর এটা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ যদি তাঁর মেয়ের হাতে মোবাইল তুলে দিতে চান, তা হলে তিনি তা করতেই পারেন। “তবে আশা করি, পরিবারের ভালর জন্যই পঞ্চায়েতের নির্দেশ মেনে চলবেন সকলে”, বললেন এক পঞ্চায়েত সদস্য।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের আসারায় এমনই ঘটনা ঘটেছিল। খাপ পঞ্চায়েতের নির্দেশে রাশ টানা হয় মেয়েদের মোবাইলে কথা বলায়। খাপের অনুশাসনের খবর মেলে হরিয়ানার গ্রামেও। মেয়েদের পড়াশোনা, ছেলেদের সামনে বিশেষত পথেঘাটে মুখ ঢেকে চলা সবেতেই তাদের কড়া নজরদারি। এ বার সে ছবিই ধরা পড়ল ভান্দারেজেও। তাই গত বারে খাপের ফতোয়া ঘিরে দেশ জুড়ে সংবাদমাধ্যমের হইচইয়ের কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই সতর্ক ভান্দারেজ পঞ্চায়েত। শুধু পুলিশের দ্বারস্থ হওয়াই নয়, ‘অসংযমী’ মেয়েদের খুঁজে বার করতে প্রশাসনের সাহায্যও চেয়েছে তারা।
তবে এ সব নিয়ে মোটেই আপত্তি নেই গ্রামবাসীদের। ভালই তো করেছে পঞ্চায়েত, বলছেন জনৈক এক গ্রামবাসী। একই কথা বলছে পুলিশও, “কই, পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এখনও তো কোনও অভিযোগ আসেনি!” |
|
|
|
|
|