|
|
|
|
সনিয়া-বন্দনায় সুনন্দা |
শশীর জন্য প্রেমের মন্ত্রক চায় বিজেপি |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
চালু হোক প্রেমের মন্ত্রক! নীতি-দুর্নীতি নিয়ে চাপানউতোর তো চলছেই। কিন্তু কিছু দিন বিতর্ক থেকে দূরে কাটিয়ে শশী তারুর মন্ত্রিসভায় ফিরতেই নতুন মাত্রা পেয়েছে কংগ্রেস-বিজেপি-র তরজা। তারই সর্বশেষ নমুনা ওই প্রস্তাব। দিয়েছেন বিজেপি-র মুখপাত্র মুখতার আব্বাস নকভি। সূত্র, শশীর মঙ্গলবারের একটি টুইট।
হিমাচলপ্রদেশে ভোটের জনসভায় শশীর স্ত্রী সুনন্দাকে ৫০ কোটির গার্লফ্রেন্ড আখ্যা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই তাঁর নিত্যসঙ্গী টুইটারে যথেষ্ট গালমন্দ কুড়িয়েছেন। নিন্দা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকেই। টুইটখ্যাত শশীই বা চুপ থাকেন কী করে! কাল তিনি লিখেন, “ওই কাল্পনিক ৫০ কোটি টাকার চেয়ে অনেক বেশি, আমার স্ত্রী অমূল্য। তবে এটা বুঝতে হলে কাউকে ভালবাসতে হবে। এটুকু বোঝার ক্ষমতা আছে কি না, দেখতে হবে সেটাও।” এটাকেই তরজার নয়া ইন্ধন বানিয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দল। বিজেপি মুখপাত্রের কথায়, “এমন এক জন আন্তর্জাতিক প্রেম-গুরুর জন্য প্রেমের একটা মন্ত্রকই চালু করা উচিত কেন্দ্রে।”
তবে কটাক্ষ বা রসিকতাতেই শেষ হচ্ছে না বিষয়টি। প্রত্যাশিত ভাবেই কংগ্রেস এই জাতীয় মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। নতুন তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, “প্রকাশ্য আলোচনাকে এতটা নীচে নামিয়ে আনবেন না।” মুখ খুলেছেন শশীর স্ত্রী নিজেও। তাঁর কথায়, “যে রাজ্য দেশকে মোহনদাস গাঁধী, সর্দার পটেলের মতো নেতা দিয়েছে, সেখানকার কেউ এতটা নীচে কী ভাবে নামতে পারেন!”
তবে মোদীকে নিশানা করার পাশাপাশি সুনন্দা যে ভাবে সনিয়া গাঁধী, মীরা কুমারদের প্রশংসায় মুখর হয়েছেন, তাতে প্রতিবাদের চেয়ে শশী-জায়ার রাজনীতিতে প্রবেশের আগ্রহই যেন বেশি স্পষ্ট। তাঁর কথায়, “সনিয়া গাঁধী, মীরা কুমারদের মতো মহান নেত্রীর দেশে মহিলাদের আরও একটু সম্মান করা উচিত।”
মোদী সম্পর্কে সুনন্দার বক্তব্যেও রাজনীতির ছোঁয়া। “গুজরাতে এত নিরীহ মানুষের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এত দিনেও যিনি ক্ষমা চাননি, তিনি জনসভার ওই মন্তব্যের জন্য (ওয়াহ্ ক্যায়া গার্লফ্রেন্ড হ্যায়। আপনে কভি দেখা পঞ্চাশ ক্রোড় কা গার্লফ্রেন্ড!) ক্ষমা চাইবেন” এমনটা আশা করেন না বলেই জানিয়েছেন সুনন্দা। আইপিএল কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি তো আগে ৭০ কোটি টাকার কথা বলেছিল। এখন বলছে ৫০ কোটি। বাকি ২০ কোটি কি ওরা নিয়েছে?” বিজেপি-কে আক্রমণের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতৃত্বকে খুশি করার মতো আরও কিছু কথা বলেছেন সুনন্দা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের নাম না করেই তাঁর বক্তব্য, “রাজনীতির বাইরেরর লোকজনকেও কেন নিশানা করা হচ্ছে। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা তো রাজনীতি করেন না।”
মঙ্গলবার কংগ্রেসেরই এক যুবক তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার করেন সুনন্দার সঙ্গে। ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি। ওই যুবককে চড় মারার যে খবর সংবাদমাধ্যমের একাংশে বেরিয়েছে, তা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন সুনন্দা। |
|
|
|
|
|