অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগের আঙুল এ বার প্রভাব ফেলল মুকেশ অন রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ (আরআইএল)-এর শেয়ার দরে।
সরকারি দাক্ষিণ্যে মুকেশ অম্বানীর সংস্থার মুনাফা ফুলে-ফেঁপে ওঠার অভিযোগ সংবাদমাধ্যমের সামনে বুধবারই তুলেছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করা কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার বাজার খোলার পর তার জেরে পড়তে থাকে আরআইএলের শেয়ার দর। এক সময়ে তা কমে যায় ২.১%। পরে অবশ্য সেই ‘ক্ষতি’ পুষিয়ে নেয় আরআইএল। দিনের শেষে সংস্থার শেয়ার দর বাড়ে ০.২%। তবে খোদ সংস্থাই এ দিন বিপুল সংখ্যায় নিজের শেয়ার না-কিনলে এই ঘুরে দাঁড়ানো কতটা সম্ভব হত, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে।
আরআইএলের মতোই দিনের শেষে সামান্য উঠেছে শেয়ার বাজারও। ৫৬.৩২ পয়েন্ট বেড়ে ১৮,৫৬১.৭০ অঙ্কে পৌঁছেছে সেনসেক্স। ২৫.৩৫ পয়েন্ট উঠে নিফটি দাঁড়িয়েছে ৫,৬৪৫.০৫ অঙ্কে।
বাজারের এই উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে আরও তিনটি ঘটনা—
(১) অক্টোবরে গাড়ি বিক্রির ভাল পরিসংখ্যানে ভর করে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি।
(২) স্পেকট্রাম পুনর্বণ্টনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিগোষ্ঠী টেলিকম কমিশনের পরামর্শ শোনায় এ নিয়ে জট কাটার আশা। যে কারণে এ দিন মোবাইল পরিষেবা সংস্থা ভারতী এয়ারটেলের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৪১%।
(৩) তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের আওতায় পড়ে না, এমন সব ব্যবসাকে নিয়ে উইপ্রোর একটি পৃথক সংস্থা গড়ার সিদ্ধান্ত। প্রধানত এই ঘোষণার কারণেই এ দিন তাদের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩.০২%। এর ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় সংস্থা আরও বেশি মনোযোগ দেবে বলে বাজারের আশা।
তবে দিনের শেষে বাজারের উত্থানকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থেকেছে কেজরিওয়ালের অভিযোগে আরআইএল শেয়ারের প্রাথমিক পতন। গত কাল কেজরিওয়ালের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রে ইউপিএ এবং এনডিএ দুই সরকারের মদতেই প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জাতীয় সম্পদ কুক্ষিগত করছে আরআইএল। চাইছে ইচ্ছেমতো তার দাম ঠিক করতে। মূলত তাদের অপছন্দের কারণেই পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক থেকে জয়পাল রেড্ডিকে সরিয়ে দিয়েছে মনমোহন সরকার।
রিলায়্যান্সের কর্ণধার মুকেশ অম্বানীর অবশ্য দাবি, এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগের প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদে সংস্থার শেয়ার দরের উপর পড়বে না বলে দাবি করেছে আরআইএল-ও। এই দাবির সারবত্তা কতটা, বাজারের নজর এখন সে দিকেই। |