ফের লোহা চুরির অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরে এমএএমসি কারখানার আবাসন এলাকায়। বুধবার গভীর রাতে স্থানীয় এক্সপার্টস হস্টেলের পাশে সুইমিং পুল অডিটোরিয়ামে ওই চুরির কথা জানাজানি হয় বৃহস্পতিবার সকালে। পুলিশের কাছে অভিযোগও করা হয়েছে। এডিডিএ-র মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক অন্তরা আচার্য জানান, পুরসভা এবং প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গভীর রাতে এমএএমসি আবাসন এলাকার ভিতরে লোহার চেয়ার, টেবিল-সহ নানা জিনিস চুরি হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাসন এলাকায় দিন-দিন লোহাচুরি বাড়ছে। অন্ধকার নামলেই দাপাচ্ছে লোহা পাচারকারীরা। মাসখানেক আগেই মাটির নীচ থেকে পানীয় জলের পাইপ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল।
এ দিন চুরির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে। আবাসনের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রাস্তার ধারের বিদ্যুৎ পরিবাহী পরিত্যক্ত ধাতব খুঁটি কেটে নিয়ে পালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পরিত্যক্ত আবাসনের দরজা-জানলা থেকেও লোহা সরানো হচ্ছে। অথচ পুলিশ ‘নিষ্ক্রিয়’। অবিলম্বে লোহাচোরদের গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়। তবে পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যেই লোহা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক জন ধরাও পড়েছে। তবে মেন গেট এলাকার লোহা মাফিয়া গোপাল জওসওয়াল যে এখনও ‘অধরা’। পুলিশের একাংশের মতে, দুর্গাপুর ও আশপাশের এলাকায় বেআইনি লোহা কারবারের অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক সে। আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদবে র দাবি, ইতিমধ্যেই গোপালের ডেরায় বেশ কয়েক বার হানা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতি বারই সে পালিয়েছে। |