পুজোর ছুটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিবাদ, বিপাকে পড়ুয়ারা
পুজোর ছুটি নিয়ে স্কুল পরিচালন সমিতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে বিবাদের জেরে গোলমাল বাধল কুলটির মিঠানি উচ্চ বিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বেশ কিছুক্ষণ তালাবন্ধ করে রাখেন অভিভাবকেরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের মুক্ত করে। জেলা স্কুল পরিদর্শক নীলিমা গিরি জানান, কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা পরিচালন সমিতির কাছে জানতে চাওয়া হবে।
স্কুলে সূত্রে জানা গিয়েছে, এবিটিএ প্রভাবিত প্রায় ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা পুজোর ছুটির পরে ৩০ অক্টোবর থেকে স্কুলের পঠনপাঠন শুরু করেছেন। বেশ কিছু পড়ুয়াও স্কুলে আসছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের একাংশ ও অভিভাবকদের দাবি, প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পাল ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পুজোর ছুটি ঘোষণা করেছেন। তা হলে এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা কীসের ভিত্তিতে ও কার অনুমতি নিয়ে স্কুলের তালা খুলে পঠনপাঠন শুরু করেছেন, সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিভ্রান্তি তৈরি করার অভিযোগে এ দিন স্কুলে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেশ কিছুক্ষণ তালা বন্ধ করে রাখেন ওই অভিভাবকেরা। প্রধান শিক্ষক ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করলেও তাঁরা ৩০ অক্টোবর থেকে স্কুলে আসছেন কেন, সে প্রশ্নে এবিটিএ নেতা তথা ওই স্কুলের শিক্ষক কিংশুক মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “পরিচালন সমিতির তরফে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পুজোর ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাই ৩০ অক্টোবর থেকে স্কুলে আসছি।”
প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পাল অবশ্য দাবি করেন, ২৮ সেপ্টেম্বর পরিচালন সমিতির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পুজোর ছুটির দিনক্ষণ ঠিক হবে টিচার্স কাউন্সিল ও প্রধান শিক্ষকের বৈঠকে। ১২ অক্টোবর তিনি টিচার্স কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন, ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি থাকবে। ৫ নভেম্বর থেকে স্কুল খুলবে। বৃন্দাবনবাবু বলেন, “১৯ অক্টোবর আমি এই সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।”
প্রধান শিক্ষক এমন দাবি করলেও স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক নন্দদুলাল চট্টোপাধ্যায় জানান, পুজোর ছুটি সংক্রান্ত আলোচনার জন্য ১৮ অক্টোবর একটি সভা ডেকেছিলেন তিনি। সেখানে টিচার্স কাউন্সিল ও প্রধান শিক্ষককে ডাকা হয়। তাঁর অভিযোগ, “টিচার্স কাউন্সিলের সদস্যেরা এলেও প্রধান শিক্ষক আসেননি। সে দিনের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ৩০ অক্টোবর স্কুল খুলবে। তা প্রধান শিক্ষককেও জানিয়েছি। কিন্তু তিনি পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত মানেননি।” প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবনবাবু পরিচালন সমিতির ডাকা ১৮ তারিখের সভায় না থাকার কথা স্বীকার করেন। তবে তাঁর দাবি, তিনি কোনও নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেননি।
দু’তরফের এমন চাপান-উতোরে বিপাকে পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা। বর্ধমান জেলা স্কুল পরিদর্শক নীলিমা গিরি বলেন, “আমি খোঁজখবর শুরু করেছি। নিয়ম মতো ছুটির দিন ঠিক করে পরিচালন সমিতি। এ ক্ষেত্রে কেন বিবাদ বাধল, তা দু’পক্ষের কাছে জনতে চাইব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.