মার্চের মধ্যেই রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতালের শিলান্যাস করা হবে। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্বপ্ন সার্থক করা হবেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি। আজ এই ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধায় সরকারকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তিনি।
কেন্দ্র রায়গঞ্জে হাসপাতাল গড়তে চাইলেও মমতা সরকার বলছে, সেখানে জমি নেই। বরং কল্যাণীতে ওই হাসপাতাল গড়া হোক। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন দীপা। তাঁর কথায়, “প্রিয়রঞ্জনের স্বপ্ন ছিল রায়গঞ্জে এই হাসপাতাল গড়া। কেন্দ্রের সাহায্যে দ্রুত হাসপাতাল নির্মাণ করাই আমার লক্ষ্য।”
রাজ্য সরকার জমি না দিলে বিকল্প সমাধানসূত্র কী হতে পারে, তা নিয়েও আজাদের সঙ্গে কথা বলেছেন দীপা। তা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চান না তিনি। তবে প্রয়োজনে বেসরকারি জমি নিয়েও হাসপাতাল গড়ার কথাও ভাবছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য হাসপাতালের শিলান্যাসে কোনও অসুবিধা হবে বলে মনে করেন না তিনি। |
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের সহযোগিতা প্রয়োজন। দীপা কি মমতা সরকারের কাছ থেকে সেই সহযোগিতা পাওয়ার আশা রাখেন?
দীপার বক্তব্য, “আমি তো সবসময়ই চাইব রাজ্যের সহযোগিতা পেতে। রাজ্য সাহায্য না করলে মানুষের কাছে যাব। ওরা কী করছে মানুষকে বোঝাব।”
সম্প্রতি দীপাদের ‘শাউটিং ব্রিগেডের’ সদস্য বলেছিল তৃণমূল। দীপার জবাব, তৃণমূল সাইলেন্ট ব্রিগেড। হলদিয়ায় তারা নীরবে অপহরণ করে ফেলছে। চোরের মতো ধর্ষণ থেকে অপহরণ-সবই সাইলেন্ট ব্রিগেডের মতো নীরবে করছে।
আজ সকালে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে সবার প্রথমে সকাল সাড়ে দশটায় দেখা করেন দীপা। গত কাল শপথ গ্রহণের সময় প্রিয়-দীপার ছেলে মিছিলও গিয়েছিল। তাঁকে দেখে সনিয়া বলেন, “ছেলে তো অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। এ তো রীতিমতো নেতা।” পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রাহুল হেসে বলেন, “তা হলে ওকে সদস্য করে দিই!”
রাহুল যে ভাবে একলা-চলো নীতি নিয়ে চলছেন, পশ্চিমবঙ্গে সেই ডাক প্রথম দিয়েছিলেন দীপাই। আজ সেই অবস্থানই রাজ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাতে সমর্থন রয়েছে সনিয়া ও রাহুলেরও। ধীরে ধীরে নিজেকে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেত্রী হিসেবে জাতীয় স্তরেও প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন তিনি। দীপার বক্তব্য, তিনি মমতা-বিরোধী নন। তবে মমতা যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলি বাস্তবে রূপায়িত হচ্ছে না। সিপিএম সেখানে বিরোধিতা করছে। এ বারে কংগ্রেসেরও জমি তৈরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। |