তিন সিপিএম কর্মী গ্রেফতার খানাকুলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে, এই দাবি করে ওই কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল তৃণমূলের লোকজন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের নবীনচকে। সিপিএমের আরও দুই কর্মীকেও মারধর করে পুলিশে দেয় তৃণমূলের ওই কর্মী-সমর্থকেরা। হারাধন মাজি, সমর গালুই এবং তুষার ধারা নামে তিন সিপিএম কর্মীকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০টি বোমা, একটি পাইপগান। তদন্ত চলছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শৈলেন সিংহ বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে সিপিএম। গ্রামবাসীদের দাবি মেনে আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে। কাউকে মারধর করা হয়নি।” সিপিএমের খানাকুল জোনাল কমিটির সম্পাদক মনীন্দ্র রানা বলেন, “আমাদের অধিকাংশ কর্মী এখনও গ্রামছাড়া। যে ক’জন আছেন, তাঁদের এলাকা-ছাড়া করতেই আগ্নেয়াস্ত্রের গল্প সাজানো হয়েছে।” খানাকুলেরই পাতুল গ্রামে এ দিন সকালে দুই সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মিঠুন সরকার ও নির্মল ঘোষ নামে ওই দু’জনের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। তাঁদের দাবি, বিনা প্ররোচনায় মারধর করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। ঘটনাটি দলীয় ভাবে খোঁজ-খবর করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শৈলেনবাবু।
|
‘আপত্তিকর ছবি’ ইন্টারনেটে, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক যুবতীর ‘আপত্তিকর ছবি’ ছড়ানোর অভিযোগে এক ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই যুবতী কোন্নগরের বাসিন্দা। কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তাঁর ছবি ‘সুপারইম্পোজ’ করে ইন্টারনেটের কয়েকটি পর্নোগ্রাফিক সাইটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারেন তিনি। সন্দেহ গিয়ে পড়ে পরিচিত স্থানীয় এক যুবকের উপরে। ওই যুবক কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার। গত মার্চ মাসে উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। উত্তরপাড়ার পুলিশ যোগাযোগ করে সিআইডি-র সাইবার সেলের সঙ্গে। তদন্তে নেমে ওই যুবকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ হয় বলে পুলিশের দাবি। রবিবার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, জেরায় ওই যুবক জানিয়েছেন, ইন্টারনেটে মেয়েটির ‘আপত্তিকর’ ছবি তাঁর নজরে এসেছিল। সেই ছবি ওই যুবতীর ‘মেল’-এ ‘ফরওয়ার্ড’ করে তাঁকে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আপত্তিকর ওই ছবি ইন্টারনেটে দেওয়ার পিছনে তাঁর হাত নেই। পুলিশ এই দাবি খতিয়ে দেখছে। ছবি আদৌ ওই যুবতীর কিনা, তা তদন্ত করে দেখতে সিআইডি-র ‘ফেস রেকগনিশন টেকনলজি’র সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত যুবকের পরিবারের দাবি, ঘটনাটি সাজানো।
|
ধর্ষণের চেষ্টা, ধৃত প্রেমিকের বন্ধু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক যুবতীর শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তাঁর ‘প্রেমিকের’ বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে হাওড়ার নাজিরগঞ্জ তদন্তকেন্দ্রের অধীন লেবুখালির বাসিন্দা মোহন রাও নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে যুবতীর ‘প্রেমিকের’ বিরুদ্ধে। তিনি পলাতক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তেইশের ওই যুবতীর বাড়ি সাঁতরাগাছি এলাকায়। স্থানীয় এক বিবাহিত যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। রবিবার সন্ধ্যায় লেবুখালিতে ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে মোহনের বাড়িতে যান যুবতী। মোহন তাঁর শ্লীলতাহানি করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বাধা দেওয়ায় তাঁকে ‘প্রেমিক’ মারধর করে। যুবতীর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা চলে আসেন। তাঁরাই পুলিশ ডাকেন। পুলিশ আসার আগেই অবশ্য পালিয়ে যান যুবতীর ‘প্রেমিক’। ধরা পড়ে মোহন। পুলিশ জানায়, সোমবার যুবতীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। তাঁর ‘প্রেমিকের’ সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
|
বিদ্যাসাগর-স্মরণে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
সারা বাংলা বিদ্যাসাগর স্মৃতিরক্ষা সমিতির আরামবাগ শাখার উদ্যোগে সম্প্রতি বিদ্যাসাগরের স্মরণসভার আয়োজন হয়েছিল। রামমোহন প্রেক্ষাগৃহে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষাবিদ বিজয়কৃষ্ণ ঘোষ, শেখ হাসান ইমাম, চিকিৎসক মনোজিৎ মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক নীলকণ্ঠ ঘোষাল ও শিশিরকুমার দলুই। |