শহরে ফের হার ছিনতাই
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মাস খানেক বিরতির পরেই ফের মোটরবাইকে চেপে শহরে হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় সীমা ডোলি নামে এক মহিলা এলগিন রোডে তাঁর স্বামীর সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। তাঁর বাড়ি রুবি মোড়ের কাছে। তিনি এ দিন ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার সময় রাস্তা পেরনোর জন্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় সময় দু’জন যুবক মোটরবাইকে চেপে এসে তার হার ছিনতাই করে পালায়। খোয়া যাওয়া হারটিতে ১০ থেকে ১২ ভরি সোনা ছিল বলে ওই মহিলা ভবানিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ২১ ও ২২ তারিখ যাদবপুর, ঢাকুরিয়া ও সন্তোষপুরে পরপর হার ছিনতাই হয়। ঢাকুরিয়ায় দুষ্কৃতীরা বাধা পেয়ে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। যাদবপুরেও দুষ্কৃতীরা বাধা পেয়ে গুলি চালায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পরেনি। এ দিন গুলি না চললেও ভর সন্ধ্যায় ফের হার ছিনতাইয়ের ঘটনা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ফের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এ দিনের ঘটনায় ওই মহিলা ওই মহিলা চিৎকার করার আগেই মোটরবাইক আরোহীরা চম্পট দেয়। এ দিন লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে অফিস কাছারি ছুটি থাকায় রাস্তাঘাটে লোকজন কম ছিল। ওই মহিলা ডাক্তার দেখিয়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে রাস্তা পেরনোর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই একটি মোটরবাইক হঠাৎই তাঁর কাছে চলে আসে। বাইকে দু’জন ছিলেন। দু’জনেরই মুখ হেলমেটে ঢাকা ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর গলার হার টান মেরে ছিনতাই করে পালায়। ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের গাড়ি এলগিন রোডের একটি বইয়ের দোকানের কাছে পার্ক করা ছিল। রাস্তার উল্টো দিকে গাড়ির কাছে যাওয়ার জন্য তারা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়ই দু’জন বাইক আরোহী তাঁর গলার হার ধরে টান দেয়। যুবকদের মুখ হেলমেটে ঢাকা থাকায় তাদের মুখ ভাল করে দেখতে পাননি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ছিনতাইবাজদের ধরে শহর জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
|
পুলিশে অনাস্থা, মমতার দ্বারস্থ হবেন তৃণমূল নেতা |
পুলিশের উপর ভরসা রাখতে না পেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন তৃণমূলেরই নেতা সৌরভ চক্রবর্তী। কোচবিহারে তাঁর বাড়িতে শনিবার গভীর রাতে কয়েক জন দুষ্কৃতী চড়াও হয় বলে পুলিশের কাছে সৌরভ অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অভিযোগ জানানোর দু’দিন পরেও দুষ্কৃতীদের ধরার ব্যাপারে পুলিশের হেলদোল নেই বলেই সোমবার তিনি জানিয়েছেন। সৌরভের বক্তব্য, “অভিযোগ জানানোর পরে আমার বাড়িতে পাহারা বসিয়েছে পুলিশ। কিন্তু দুষ্কৃতীদের খোঁজ করছে না। বাড়িতে পাহারা না দিয়ে পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরুক। সেটাই মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।”
|
পথ দুর্ঘটনাকে ঘিরে রবিবার রাতে বেহালা থানা এলাকার মহাবীরতলায় দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হলেন এক ওষুধ ব্যবসায়ী। ঘটনার জেরে সোমবার সকালে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা। তাঁদের দাবি, পূর্ণেন্দু বাগ নামে ওই ব্যবসায়ী তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন। স্থানীয় ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শৈলেন দাশগুপ্তের অভিযোগ, “দুষ্কৃতীরা কংগ্রেসের মদতেপুষ্ট। স্থানীয় একটি সুলভ শৌচাগারের কারণে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে এই দাবিতে দুষ্কৃতীরা আমাদের লোকজনকে মারধর করে।” দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মালা রায় অবশ্য বলেন,“তৃণমূল নিজের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে না পারলেই কংগ্রেসের উপরে দোষ চাপায়। এ ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।” অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে বেহালা থানার পুলিশ।
|
বাগুইআটি থানা এলাকার জগৎপুরের শিমুলতলায় একটি ঝুপড়িতে কয়েকটি ঘরে সোমবার রাতে আগুন লাগে। পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রথমে একটি ঘরে আগুন লাগে পরে তা পরের কয়েকটি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রন করতে ঘটনাস্থলে আসে। তবে ঘিঞ্জি এলাকা বলে দমকল ঘটনাস্থলে ঢুকতে পারেনি। পরে দমকলকর্মীরা এলাকা থেকে জল নিয়ে আগুন নেভায়। ওই এলাকার একটি বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই আগুন লেগেছে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। এই ঘটনায় এলাকার এক কিশোরে অল্প বিস্তর আগুনে জখম হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
ফের মেট্রোয় ‘ঝাঁপ’। সোমবার সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে বেলগাছিয়া স্টেশনে কবি সুভাষগামী মেট্রোর সামনে ‘ঝাঁপ’ দেন নাম গুঞ্জন চৌধুরী নামে এক মহিলা (৩০)। এর জেরে ১০টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত গিরিশ পার্ক থেকে আপ এবং ডাউনের ট্রেন বন্ধ থাকে। ১০টা ২৬ নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
|
এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ মিলল। সোমবার, বেনিয়াপুকুরের তিলজলা রোডে একটি বাড়ি থেকে। মৃতের নাম তনবী ইয়াসিন (৩০)। তাঁর পরিজনেদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারের জেরেই এই ঘটনা। তনবীর স্বামী মহম্মদ শাকির আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। |