একাঙ্ক নাটকে সেরার শিরোপা ‘অন্তধারা’র
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
সিহারশোল ‘স্পোটর্স অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত ৩৮তম বর্ষ একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতায় প্রযোজনা, পরিচালনা, পাণ্ডুলিপি, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও অভিনেত্রীর পুরস্কার পেল ‘বোহেমিয়ান থিয়েটার’-এর নাটক ‘অন্তধারা’। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেষ্ঠ প্রযোজনার পুরস্কার পেয়েছে পদধ্বনি গোষ্ঠীর ‘মাটির পুতুল’ এবং অগ্রণী থিয়েটারের ‘সোনার চাবি’। দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পাণ্ডুলিপির পুরস্কার পেয়েছে বালানুজ মহন্ত রচিত ‘লজ্জা’। সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ ‘অন্তধারা’ নাটকের বিষয় মানবিকতা। একমাত্র সন্তান হারানো দম্পতি কী ভাবে ভাড়াটে এক যুবককে সন্তানস্নেহে গ্রহণ করে জীবন কাটালেন, তা-ই বিষয়বস্তু ‘অন্তধারা’ নাটকের। পার্কে একটি মৃতদেহে দেখে পুলিশকে খবর দিয়ে কী ভাবে বিপাকে পড়তে হল এক শিক্ষককে, দেখিয়েছে ‘লজ্জা’। পাশাপাশি দেখানো হয়েছে, মৃতকে নিজের কর্মী দাবি করে রাজনৈতিক দলগুলি হামলে পড়ায় কেমন অসহায় মৃতের পরিবার। শ্রেষ্ঠ তিন অভিনেতা ও অভিনেত্রী হলেন ‘অন্তধারা’র রাজীব হাজরা, ‘লজ্জা’র সাহেব মাজি, ‘সোনার চাবি’র কৌশিক দে এবং ‘অন্তধারা’র অন্তরা চট্টোপাধ্যায়, ‘মাটির পুতুল’-এর সুস্মিতা হাজরা ও ‘সোনার চাবি’র মৌসুমি হাজরা। শুক্রবার দু’দিনের প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন গ্রামের প্রবীণা প্রদীপ্তা কাঞ্জিলাল। ১৯৪৩ সালে গ্রামে ‘সীতা’ নাটকে অশোকবনে বন্দিনী সীতার রক্ষী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন তিনি। আয়োজক সংস্থার পক্ষে শশাঙ্ক কাঞ্জিলাল জানান, তাঁদের গ্রামের প্রথম মহিলা অভিনেত্রী প্রদিপ্তাদেবী। রবিবার পুরস্কার বিতরণ করেন স্থানীয় বিধায়ক সোহরাব আলি।
|
নাট্যোৎসবে মেদিনীপুর কলেজ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘অনীক’ আয়োজিত আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে আমন্ত্রণ পেল মেদিনীপুর কলেজ। ২৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর কলকাতার শিশির মঞ্চে এই নাট্যোৎসব করছে অনীক। ২৬ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সেই মঞ্চেই মঞ্চস্থ করবেন ‘একটি অবাস্তব গল্প’।
কলকাতার নাট্যসংস্থা অনীক প্রতি বছরই রাজ্যস্তরে নাট্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত ১২ অগস্ট থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এ বছরের প্রতিযোগিতা হয়েছিল যুবভারতীতে। রাজ্যের নানা প্রান্তের ১৩২টি নাট্যদল তাতে যোগ দেয়। প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন মেদিনীপুর কলেজের শিল্পীরাও। ‘একটি অবাস্তব গল্প’ মঞ্চস্থ করে দ্বিতীয় স্থান পায় মেদিনীপুর কলেজ। কলেজের শিক্ষক তথা নাট্য পরিচালক শ্যামলেন্দু ঘোষ শ্রেষ্ঠ পরিচালকের শিরোপা পান। সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান পদার্থ বিদ্যার (অনার্স) ছাত্র সৌমেন্দু ঘোষ। এ বার একেবারে আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে যোগ দেওয়ার ডাক। শ্যামলেন্দুবাবুর কথায়, “পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ছাত্রছাত্রীরা শিল্পমনস্ক হয়। অকারণ আড্ডা বা ঘুরে বেড়ানোর পরিবর্তে সুস্থ সংস্কৃতির স্ফূরণ ঘটে। আমিও চেষ্টা করি যাতে ছাত্রছাত্রীরা নাটকের প্রতি উৎসাহিত হয়। আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে নাটক মঞ্চস্থ করার সুযোগ মেলায় ছাত্রছাত্রীরা যেমন খুশি আমিও ভীষণ খুশি। এতে ছাত্রছাত্রীরা আরও উৎসাহিত হবে।” |