দুই পাড়া মিলে যায় কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে |
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় • মুরারই |
একজনের নাম ছায়া। অন্যজনের ছবি। মাঝখানে বিশালাকার লক্ষ্মী।
মুরারইয়ের গোঁড়শা গ্রাম প্রতি বছর ওই বিশেষ মূর্তি গড়েই মেতে ওঠে লক্ষ্মীপুজোতে। শতাব্দী প্রাচীন ওই পুজোকে ঘিরেই একটি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিযোগিতা চলে আসছে গ্রামের দুই প্রান্ত পূর্ব পাড়া ও পশ্চিম পাড়ার মধ্যে।
এ ক্ষেত্রে দুই পাড়ার লড়াইয়ের মাধ্যম কিন্তু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একপাড়া যাত্রাপালা আয়োজন করলে, উল্টো দিক মেতে ওঠে পঞ্চরসের আসরে। লক্ষ্মীপুজোর উন্মাদনায় এ ভাবেই কবিগান, বাউল গানের মতো নানা অনুষ্ঠান উপহার পান এলাকাবাসী! |
পূর্ব পাড়া পুজো কমিটির সম্পাদক জীবন সাহা, সদস্য পঞ্চানন সেন-রা জানালেন, “এ বছর আমাদের আসরে থাকছে বহরমপুরের একটি যাত্রাপালা। অন্য দিকে, পশ্চিম পাড়ায় বসছে বাউলগান।”
প্রতিযোগিতার এমন মজাদার ভাবনা ছাড়াও ঐতিহ্যের দিক থেকেও বিশিষ্ট গ্রামের দুই পাড়ার এই লক্ষ্মীপুজো। বিসর্জনের দিন ব্যবহার করা হয় না কোনও রকমের বৈদ্যুতিন আলো। কোজাগরী পূর্ণিমার গভীর রাতে মানুষের কাঁধে চড়ে সারা গ্রাম প্রদক্ষিণ করে বিসর্জনে যান ঠাকুর। সেই বিসর্জনে এলাকাবাসী মেতে ওঠেন পটকা, তুবড়ি বাজিতে। সেই সঙ্গে সারা রাত পাঁচ রকম বাজনায় মুখরিত হয় গ্রাম। পশ্চিম পাড়া পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, সদস্য নীলচাঁদ মণ্ডল-রা বলেন, “বিসর্জনের রাতে গ্রামের জুনিয়র হাইস্কুল মাঠে মিলিত হয় দুই পাড়ার ঠাকুর। উৎসবে মাতি আমরা।”
লক্ষ্মীপুজোয় সমস্ত বিভেদ ভুলে পরস্পর মিলিত হওয়াটাই আসল ঐতিহ্য গোঁড়শার।
|
দোকানে অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে আমোদপুর স্টেশন লাগোয়া বাজার এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়িক বিবাদের জেরে ওই যুবক একটি দোকানে আগুন লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। তখনই তিনি ধরা পড়ে যান। ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রবিবার তানি শেখ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতের বাড়ি আমোদপুর এলাকার ইসলামপুর গ্রামে। ধৃতকে সোমবার সিউড়ি জেলা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজত হয়। |