পুলিশের উপর কার্যত আস্থা রাখতে পারছেন না খোদ মন্ত্রীই। দুষ্কৃতী দমনে তাই তাঁর দাওয়াই গণপিটুনি।
সেই মন্ত্রী, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জাভেদ খানের বক্তব্যের উৎস, তপসিয়া এলাকায় একটি গুলি চালানোর ঘটনা।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে তপসিয়া রোড এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন স্থানীয় তিন যুবক। আর এক জনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতও লাগে। বিকেলে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “নিরীহ মানুষের উপরে অত্যাচার মানা যায় না। আমরা এর প্রতিবাদ করব। স্থানীয়েরা মিলে ওই দুষ্কৃতীদের ধরে, পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেবে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলটি তিলজলা ও তপসিয়া এই দু’টি থানার এলাকায় পড়ে। আহতেরা হলেন মহম্মদ ইফতেকার আহমেদ, মহম্মদ সাবির, মহম্মদ আসিফ ও মহম্মদ কবিল। বেলা ১১টা নাগাদ ১০-১২ জন যুবক আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রথমে তপসিয়া রোডের তিলজলা থানা এলাকায় ঢুকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সাবির, আসিফ ও কবিলের পায়ে গুলি লাগে। এর পরে তপসিয়া থানা এলাকায় ঢুকে ইফতেকারের পিঠে ও পেটে ধারালো অস্ত্রে আঘাত করা হয়। অভিযোগ, এলাকা দখল ও ক্ষমতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই এসেছিল দুষ্কৃতীরা।
ন্যাশনাল মেডিক্যালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মহম্মদ ইফতেকার আহমেদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি তিন জনের অস্ত্রোপচার হয় সেখানেই। চিকিৎসকেরা জানান, সাবিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জাভেদ খানের অভিযোগ, “চুন্নু মিঞা নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর লোকেরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।” তবে চুন্নু মিঞা তা অস্বীকার করে বলেন, “ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাকে এই ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই সব জানা যাবে।”
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “তিলজলা ও তপসিয়া থানা এলাকায় মামলা দায়ের হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |